রোকন হারুন: কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতের দ্বারা মুমিনের ইমান বাড়ে। অন্তরে আল্লাহ তায়ালার ভালবাসা সৃষ্টি হয় বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এ মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের প্রভাব মানব জীবনে অবিস্মরণীয়। তার বাস্তবতা আমরা দেখি, উপলব্ধি করি যা অনস্বীকার্য।
কুরআনুল কারিমের একটি আয়াতের প্রভাব মানব জীবনে কতটা দরকারী ও প্রয়োজনীয় তা আমরা হাদিসে দেখতে পাই; উবাই ইবনে কাব রা. হতে বর্ণিত, তার খেজুর রাখার একটি থলে ছিল। সে থলে থেকে ক্রমশ খেজুর কমতে থাকে। একরাতে তিনি পাহারা দেন।
হঠাৎ যুবকের আকৃতিতে একটা জন্তু দেখতে পেলেন। অতপর তাকে সালাম দিলেন, সে সালামের উত্তর দিল । সাহাবি জিজ্ঞাস করেন, তুমি কি জিন না মানুষ? সে বলে, জিন। উবাই ইবনে কাব রা. তার হাত দেখতে চাইলে সে তার হাত দেখায়। তার হাত ছিল কুকুরের হাতের ন্যায় আর চুলও ছিল কুকুরের চুলের সাদৃশ। তিনি বলেন, এটা জিনের সুরত।
এরপর সে (জন্তু) বলে, জিন সম্প্রদায়ের মধ্যে আমি সবচেয়ে সাহসী। সাহাবি বলেন, তােমার আসার কারণ কী? সে বলে, আমরা শুনেছি আপনি সাদকা পছন্দ করেন, তাই কিছু সাদকার খাদ্যসামগ্রী নিতে এসেছি।
সাহাবি বলেন, তােমাদের থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? সে বলে, সূরা বাকারার এই আয়াতটি (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু-আল হাইয়ুল কাইয়ুম...), যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এই আয়াত পড়বে, সকাল পর্যন্ত আমাদের থেকে পরিত্রাণ পাবে। আর যে ব্যক্তি সকালে পড়বে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের থেকে নিরাপদে থাকবে।
সকাল হলে সাহাবি রাসুল সা.-এর কাছে আসেন এবং ঘটনাটা বলেন। রাসুল সা. বলেন, খবিস সত্য বলেছে।
সূত্র: সহিহুত তারগিব:১/৪১৮)
-আরএইচ