আতীক উল্লাহ>
নবীজি সা.-এর সেই বিখ্যাত চিঠি। দেহইয়া কালবী রা. বহন করে নিয়ে গিয়েছিলেন রোমসম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে।
সম্রাটের পুরো নাম ছিল (Flavius Heraclius Augustus) ফ্লেবিয়াস হিরাক্লিয়াস অগাস্টাস। জীবনকাল ৫৭৫-৬৪১, শাসনকাল ৬১০-৬৪১, বায়যান্টাইন সাম্রাজ্যের শাসনকাল ছিল ৩৩০ থেকে ১৪৫৩ সালে মুহাম্মাদ আলফাতিহের হাতে পতন পর্যন্ত।
চিঠিতে নবীজি লিখিয়েছেন, ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহী ’ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদের পক্ষ থেকে রোমসম্রাট হিরাক্লিয়াসের প্রতি। হিদায়াত অনুসরণকারীর প্রতি সালাম!
পর সমাচার, আমি আপনাকে ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। ইসলাম গ্রহণ করুন, নিরাপদ থাকবেন (أسلم تسلم) শান্তি পাবেন। সেই বিখ্যাত কথা, ইসলাম গ্রহণ করুন! শান্তিতে থাকবেন (أسلم تسلم) নিরাপদ থাকবেন।
মরু আরবের কুঁড়েঘরে বসে, তৎকালীন সবচেয়ে শক্তিশালী শাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। কোনও কিছুর পরোয়া করেননি। আর আমরা? খ্রিস্টান মিশনারীদের প্রভাবে, সেবা-চিকিৎসা দিয়ে মনজুগিয়ে দ্বীনের দাওয়াতের চিন্তা করি।
এই পদ্ধতি মন্দ বা অকার্যকর, সেটা বলছি না। কিন্তু এটা দ্বীনি দাওয়াতের মৌলিক পদ্ধতি নয়। এটা একটা অনুষঙ্গ হতে পারে বড়জোর। আবার এমনটা ভাবাও ঠিক নয়, তরবারির জোরে কাউকে মুসলিম বানানো হবে।
"بسم الله الرحمن الرحيم من محمد عبد الله ورسوله إلى هرقل عظيم الروم: سلام على من اتبع الهدى، أما بعد فإني أدعوك بدعوة الإسلام، أسلم تسلم...
অনেক দিনের কৌতুহল, চিঠিটা কার হাতে লেখা? নবীজির কাতেব তো অনেকেই ছিলেন!
ব্যক্তিগত বেদনা ও আনন্দের বিষয় হল, সরাসরি চিঠির চিত্র থেকে এর আগে নবীজির কোনও চিঠি পড়িনি।
ছাপানো কিতাব থেকে চিঠির ভাষ্যগুলো পড়া হয়েছিল। এই প্রথম চিঠির চিত্র থেকে পাঠোদ্ধার করে নবীজির কথাগুলো পড়লাম। তবে শতভাগ উদ্ধার করতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ।
-আরএইচ