আওয়ার ইসলাম: সাভারের বহুলালোচিত, বিতর্কিত ও বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা সেলিম মন্ডল ওরফে খুনি সন্ত্রাসী মন্ডলকে জেলের বাসিন্দা করে পুলিশের সর্বোচ্চ মেডেল ‘প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল’ পাচ্ছেন পুলিশ অফিসার আনোয়ার হোসেন।
আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এই পদক গ্রহণ করবেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সাহসী পুলিশ অফিসার আনোয়ার হোসেন।
তিনি সাহসীকতা কাজের জন্যে পিপিএম সেবা পদক পাচ্ছেন খুনি সেলিম মন্ডল ওরফে সন্ত্রাস মন্ডলের স্ত্রী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্যে।
দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা আক্তার বকুলকে নৃশংস ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লাশের মুখ আগুনে ঝলসে দিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা চালায় সেলিম মন্ডল।
সেই পরিস্থিতি থেকে মামলার ক্লু উদঘাটন ও "হাই ভোল্টেজ" আসামী হিসেবে বিদেশে পালানোর পথে বিমানবন্দর থেকে সেলিম মন্ডলকে ধরে এনে নিজের দক্ষতা আর সাহসীকতার পরিচয় দেন তিনি।
পুলিশের সর্বোচ্চ পদক প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত আনোয়ার হোসেন আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সেলিম মন্ডল ওরফে সন্ত্রাসী মন্ডলের মামলাটির তদন্ত শেষ কাজ শেষে আমরা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছি।
মাস খানেক আগে দাখিল করা চার্জশীটে সেলিম মন্ডল ছাড়াও মামলায় তার খালাতে ভাই আব্দুল হামিদ ও দেহরক্ষি মামুনকে আসামী করা হয়। তদন্ত পর্যায়ে এই মামলায় সেলিম মন্ডল ছাড়াও তার ভাই যুবলীগ নেতা জুয়েল মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মামলায় তার কোন সংযুক্তি না পাওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
তদন্তকারী সূত্রমতে, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২/২০১ ও ৩৪ ধারায় আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়।
মুরাদ জং জমানায় সেলিম মন্ডলের আত্মপ্রকাশ হয় মূলত ক্যাডার হিসেবে। ফুটপাত দখল করে বাণিজ্য,সন্ত্রাসী ও পেটোয়া বাহিনী নিয়ে কাদের মোল্লাকে রড ও হকিস্টিক দিয়ে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হাত পা গুড়িয়ে দেয়ার মতো নানা অপকর্মের মাধ্যমে দিনে দিনে সেলিম মন্ডল হয়ে ওঠে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মন্ডল। তারপরের গল্পটা সকলেরই জানা।
আরআর