ইসমাঈল আযহার: আমাদের সমাজে লাশ বা মৃতব্যক্তির ব্যাপারে একটা কথা অনেকেই বলেন, নবী স. এর দাফন কাজে দুদিন বিলম্ব হয়েছিল, অতএব দাফন কাজে বিলম্ব করা অবকাশ আছে। অনেকে মনে করেন, বিলম্ব করাই সুন্নাত।
আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ স. সমস্ত সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন রাসুল স. কে। তাঁর ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম যে অবস্থার সম্মুখিন হয়েছিলেন তা সবার কাছে সুস্পষ্ট।
রাসুল স. নির্দেশ অনুযায়ী হযরত আয়শা রা. সংকীর্ণ ঘরের ভেতরে গোসল, কাফন, জানাযা সবকিছুই করতে হয়েছে। এই সংকীর্ণ স্থানে অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম, মুমিন, মসলমানের জানাযা আদায়ের বিষটি অত্যন্ত বিবেচনার বিষয়। দু’তিন জনের বেশি জানাযা আদায়ের কোনো সুযোগই ছিল না সেই ঘরে। তাই রাসুল স. শ্রেষ্ঠ মার্যাদা এবং পরবর্তী সমস্যাগুলো বিবেচনার পর এমন কথা বলা ধৃষ্টতার অন্তর্ভূক্ত।
বহু হাদিসে এমন রয়েছে যেখানে রাসুল স, তাড়াতাড়ি মৃতকে দাফন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব সুস্পষ্ট নির্দেশ অমান্য করে ইন্তেকালের পর একটি বিষেয় প্রয়োজনের মুহূর্তের ঘটনাকে মাধ্যম করে মৃতকে দাফন কাফনে বিলম্ব করার এ উক্তি অর্থহীন এবং নিতান্তই দুঃখজনক।
সূত্র: দাফন কাফনের মাসলা মাসায়েল।
আইএ