হাসান আল মাহমুদ
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পাওয়া যায় প্যাকেটজাত গোশত। বিভিন্ন নামিদামি শপ থেকে মানুষ এই প্যাকেটজাত গোশত ক্রয় করে ভক্ষণ করেন।
যে জন্তু থেকে এ গোশত, সে জন্তু কী হালাল জন্তু, সে জন্তুর জবাইকারী মুসলমান নাকি মুশরিক, সে জন্তু কী আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা হয়েছে- এগুলো সব থাকে অজানা। মানুষ বিশ্বাসের ওপরই এসব প্যাকেটজাত গোশত ক্রয় করে ভক্ষণ করে।
ইসলামি শরীয়ত হালাল জন্তুর বিবরণ দেয়ার সাথে সাথে হালাল জন্তুকে হালাল করার প্রক্রিয়াও বলে দিয়েছে। এজন্য প্যাকেটজাত গোশত সম্পর্কে যদি জানা থাকে, এই গোশত মুসলমানের হাতে শরীয়ত সম্মত পদ্ধতিতে জবাইকৃত হালাল জন্তুর গোশত, তাহলে উক্ত গোশত খাওয়া হালাল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু যদি, প্যাকেটকৃত গোশতের ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা না যায়, এটা মুসলমান, কাফের না মুশরিকের জবাইকৃত গোশত, তাহলে এ অবস্থায় উক্ত প্যাকেটজাত গোশত পরিহার করা জরুরি।
এমনিভাবে যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায়, প্যাকেটজাত গোশত কোনো কাফের বা মুশরিকের জবাইকৃত, তাহলে এমন প্যাকেটজাত গোশত খাওয়া বৈধ নয়।
এমনিভাবে কোনো মুসলমান বা প্রকৃত আহলে কিতাবের পক্ষ থেকেই জবাই হয়েছে, কিন্তু শরয়ী পন্থায় আল্লাহর নাম নিয়ে ধারালো চাকু বা এজাতীয় কিছু দিয়ে জবাই করা হয়নি, বরং মেশিনে বা এজাতীয় কোনো পন্থায় আল্লাহর নাম নেওয়া ব্যতীত জবাই করা হয়েছে, তাহলে এমন প্যাকেটজাত গোশত খাওয়াও বৈধ নয়।
উল্লেখ্য, মুসলমান ছাড়া শুধুমাত্র বাস্তবে আহলে কিতাব তথা শুধু আদম শুমারিতে নয় বরং বাস্তবে ইয়াহুদী-খৃষ্টান হলে, তাদের হাতে আল্লাহর নামে জবাইকৃত জন্তুর গোশত হালাল হবে।
কিন্তু বর্তমানে তারা নামে মাত্র আহলে কিতাব, প্রকৃত অবস্থায় আহলে কিতাব নয়। তাই তাদের জবাইকৃত জন্তুর প্যাকেটজাত গোশত খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন উচিত।
তথ্য: সূরা আনআম-১২, সহীহ বুখারী-১/২৭৫, নিযামুল ফতাওয়া-১/১৮৭, ফতোয়ায়ে রাহমানিয়া-২/৩৮১।
এইচএএম