মুফতি আবদুল্লাহ তামিম
মহান আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীতে মানুষ ও জিন জাতিকে পাঠিয়েছেন তার ইবাদতের জন্য। আল্লাহ্র আদেশ মেনে চলা, তার পছন্দনীয় কাজ করাই ইবাদত।
আল্লাহর ইবাদত করাই বান্দার কাজ।সৃষ্টির মূল লক্ষ্য। জীবন দিয়েছেন আল্লাহ। আর এ জীবনে আসে নানান দু:খ কষ্ট আর বেদনা। এসব কষ্ট সম্পর্কে আল্লাহর কাছে বললেও আল্লাহ আমাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না কেনো। অনেকেই আমরা নিরাশ হয়ে যাই।
প্রশ্ন: মহান রব পবিত্র কুরআনে বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। যখন তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে, তখন তাদের প্রার্থনা কবুল করে নিই। আমি একটা বড় বিপদে পড়েছি, মহান রবের কাছে আমি, আব্বু, আম্মু, তাহাজ্জুদ, নফল নামাজ, নফল রোজা রেখে মহান রবের কাছে প্রার্থনা করছি, কাকুতি/মিনতি করে বিপদ থেকে উদ্ধার হতে চাচ্ছি। ১মাস হয়ে গেল, ফলাফল পেলাম না, কারন কি?
উত্তর: আল্লাহর রাহমত হতে নিরাশ হওয়া কোন মুসলিমের স্বভাব নয়। বরং এই স্বভাব কাফের মুশরিকদের।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
ক) তোমরা আল্লাহর রাহমাত হতে নিরাশ হয়ো না। (সূরা যুমার- ৫৩)
খ) হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে (আল্লাহর) সাহায্য চাও। (সূরা বাকারা- ১৫৩)
গ) আর যখন (বান্দা) নিরাশ হয়ে পড়ে তখনই তিনি (আল্লাহ) বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তাঁর করুণা বর্ষণ করেন। (সূরা শুরা- ২৮)
নবী (সা.) বলেন, “বিপদের প্রথম আঘাতেই ধৈর্যধারণ করাই প্রকৃত ধৈর্য।” (সহীহ বুখারী, হা- ১২১৭)
অতএব, প্রত্যেক বিপদাপদে আক্রান্ত মুসলিম নর-নারীকে নিরাশ বা হতাশ না হয়ে এবং ধৈর্যহারা না হয়ে বরং ধৈর্যধারণ করে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য ও রহমত কামনায় অটল থাকতে হবে।
আর চরম ধৈর্যধারণ মূহুর্তেই শয়তান বান্দার মনে কুমন্ত্রনা ও কুবাসনা জাগিয়ে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। আল্লাহর সাহায্য ও রাহমত প্রকৃত আশাবাদী মুসলিম, মুমিন বান্দা-বান্দিদের জন্য, নৈরাশাবাদীদের জন্য নয়।
আরো পড়ুন-
‘ছেলেরা আমার গায়ে হাত দিলে বিচ্ছিরি লাগে’
অশ্লীল যুগের পার্শ্ব চরিত্রের আদিম যুগের নির্যাতন
বন্ধ হলো জামালপুরে নিজামুদ্দীনপন্থীদের ইজতেমা
এটি/আওয়ার ইসলাম