মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ
জান্নাত হল মুমিনের উন্নত জীবনের উদ্যান, আর জাহান্নাম অবাধ্যের নিকৃষ্ট আবাসস্থল। তাই আমাদের জানা থাকা দরকার কোন কোন কাজে আমরা জান্নাতের অধিকারী হবো, আর কোন কোন আদেশ বা নিষেধ লঙ্ঘনে অবাধ্যদের অন্তর্ভুক্ত হবো।
হযরত আবু আইয়ূব আন্সারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«جَاءَ رَجُلٌ إلَى النَبِيِّ e فَقَالَ: دُلَّنِيْ عَلَى عَمَلٍ أَعْمَلُهُ يُدْنِيْنِيْ مِنَ الـْجَنَّةِ وَيُبَاعِدُنِيْ مِنَ النَّارِ، قَالَ: تَعْبُدُ اللهَ، لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيْمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيْ الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ ذَا رَحِمِكَ، فَلَمَّا أَدْبَرَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ e : إِنْ تَمَسَّكَ بِمَا أُمِرَ بِهِ دَخَلَ الْـجَنَّةَ».
“জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন: (হে নবী!) আপনি আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদাত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। সালাত কায়েম করবে, যাকাত দিবে ও নিজ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবে।
লোকটি রওয়ানা করলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন: সে যদি আদিষ্ট বিষয়গুলো আঁকড়ে ধরে রাখে তা হলে সে জান্নাতে যাবে”। –সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৯৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩
এই হাদিসে আমরা দেখলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সাহাবীকে চারটি মৌলিক কাজের কথা বলেছেন-
১. ইবাদত কেবলমাত্র আলাহর জন্যই করা এবং এতে কোন প্রকার শিরক না করা।
২. নামায কায়েম করা। অর্থাৎ, পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথা সময়ে জামাআতের সহিত আদায় করা।
৩. যাকাত যথাযথভাবে আদায় করা। (যখন তা ফরয হয়।)
৪. আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে চলা (আর তা শরীয়তগ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া ছিন্ন না করা)।
দ্বীনের অন্য ফরযিয়্যাতগুলো আদায়ের পাশাপাশি স্বাভাবিক অবস্থায় এই কাজগুলো যদি কেউ নিষ্ঠার সাথে করে যায় – আল্লাহর রাসুল বলছেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। রাব্বে কারিম আমাদেরকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
মাওলানা তারিক জামিলের জর্ডান সফর ও ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রশ্ন
আরএম/