আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, ইঁদুর ভাই ইঁদুর ভাই তোর চিকন দাঁতটা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।
এটি ভিত্তিহীন প্রথা ও কুসংস্কার। আর যদি বাস্তবিকভাবেই বিশ্বাস করে যে, ইদুর দাঁত দিতে পারে, বা এভাবে বললে দাঁত চিকন হবে; তাহলে তো মারাত্মক গুণাহের কাজ।
একজন মুসলিমকে বিশ্বাস রাখতে হবে, আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মহান আল্লাহর দান। এতে দুনিয়ার কোন মানুষ কিংবা কোন প্রাণীর কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই।
কিছু কওমি কিছু হেফাজত ও চেতনার আস্তিন
আমাদের দাঁতের প্রয়োজন; তো আল্লাহর কাছেই চাইব। ইদুরের কাছে চাইতে যাবো কেন? মূলত: এসব কথা ও প্রথার দ্বারা শিশুর মনে শিরকের বীজ রোপিত হয়ে যায়।
যা পরবর্তীতে আরো বড় শিরকী বিশ্বাসের দিকে নিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এজন্য আমাদের কর্তব্য হলো, শিশুর নিষ্পাপ মনে যেন কোন ভাবে শিরকী বিশ্বাসের বীজ রোপিত না হয় সেজন্য এসব কু সংস্কার থেকে তাদেরকে দূরে রাখা।
ইসলামে কুসংস্কারের কোনো স্থান নেই। কুসংস্কার প্রসঙ্গে হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছু নেই, বরং তা শুভ বলে মনে করা ভালো।
সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! শুভ লক্ষণ কী? তিনি বললেন, এরূপ অর্থবোধক কথা, যা তোমাদের কেউ শুনতে পায়।’ বুখারি শরিফ।
আমরা জানি, অজ্ঞতা ও অশিক্ষা থেকে সৃষ্টি হয় যাবতীয় কুসংস্কার। ফলে সমাজে নানা রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাই অজানাকে জানতে হবে, অচেনাকে চিনতে হবে।
যত দূর সম্ভব প্রতিটি বিষয়ে সুস্পষ্ট জ্ঞান ও পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। এ জন্য চাই সঠিকভাবে জ্ঞান অন্বেষণ ও বিদ্যার্জন।
ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে অত্যাবশ্যক করা হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার বিকশিত হলেই সমাজ থেকে কুসংস্কার দূরীভূত হবে। কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান রাখে আর যে জ্ঞান রাখে না, তারা উভয় কি সমান হতে পারে?’ -সূরা আল যুমার: ৯
আরো পড়ুন-
বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে লিঁয়াজো কমিটি গঠন
আলেমদের অপপ্রচার বন্ধ করুন; আপনাদের ইতিহাসও আমাদের জানা
দুর্নীতি মামলায় নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ গ্রেফতার