আওয়ার ইসলাম: ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় আজ রাত ১২টা থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে, এ সময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। আইন আমান্য করলে জেল অথবা জরিমানা এমনকি উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানান, দুই দফায় বর্তমান সরকারের ৯ বছরে ইলিশের উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিলো ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
মন্ত্রী জানান, প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ মৎস্যখাতে জড়িত এবং ১১ শতাংশের বেশি লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ শতাংশ আসে শুধু ইলিশ থেকে। দেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান এক শতাংশের বেশি বলে জানান তিনি।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, বিশ্বে ইলিশের উৎপাদনে বাংলাদেশ একাই ৭০-৭৫ ভাগ উৎপাদন করে। গত ৯ বছরে সার্বিক মাছের উৎপাদনও ২৭ লাখ ১ হাজার মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এটি ২০১৬-১৭ সালের উৎপাদন-লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের চেয়ে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
তাই ২০১৭-১৮ সালে ইলিশের উৎপাদন যেমন ৫ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে তেমনই মাছে উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়ে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন হবে বলে আশা করছেন তিনি।
ইলিশের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উদ্ঘাটন করেছে বাকৃবি
-আরআর