আওয়ার ইসলাম: রাজশাহী-নাটোর সীমান্তের বিলের ধার থেকে আবদুল মজিদ (৫০) নামে এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের হাত-পা বাঁধা ছিল। মুখমণ্ডল দাহ্যপদার্থ দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার পাইকপাড়া বিলের পাশ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুল মজিদ পুঠিয়া উপজেলার গণ্ডগোহালী-নিমতলা গ্রামের মৃত জমিরউদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়া লোকজন প্রথমে লাশটি দেখতে পান। ধানক্ষেতের পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ক্ষতবিক্ষত লাশটি দেখে মনে হচ্ছে, দুদিন আগে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশটি যেন শনাক্ত করা না যায়, সে কারণে মুখোমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাহ্যপদার্থ দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবদুল মজিদ গত ২ অক্টোবর দুপুরের খাবার খেয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর তিনি আর ফেরেননি।
গত দুদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী এক ভ্যানচালক আবদুল মজিদের লাশ বিলের মধ্যে পড়ে আছে বলে বাড়িতে খবর দেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করি।
নাটোর সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে যাওয়ার পথে ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। লাশটি উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনতাইকারী একটি চক্র তাকে হত্যা করে লাশটি মাঠের মধ্যে একটি ধানক্ষেতের পাশে ফেলে রেখে গেছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া এ মুহূর্তে চূড়ান্তভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত মাসের ২ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের রজব আলীর ছেলে ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর আলমের হাত-পা বাঁধা লাশ উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের কাছে একটি কলাবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন: হেফাজত, কওমি স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা বিষয়ে দীর্ঘ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী