আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই ৫১৭ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মোট দুই হাজার লোক নতুন করে নিয়োগ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশনের বর্তমান জনবল আছে তিন হাজার।
নতুন পদ সৃষ্টি করে জনবল পাঁচ হাজার করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গতকাল বুধবার ইসির বিদ্যমান জনবল থেকে ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যুগ্ম সচিব কাউকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার ১০টি পদের বিপরীতে ৯ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। তারা চতুর্থ গ্রেডভুক্ত হবেন।’
তিনি বলেন, ‘উপসচিব পদে ২৯ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। তারা পঞ্চম গ্রেডভুক্ত হবেন। সিনিয়র সহকারী সচিব ৩৭ জনকে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছে। তারা ষষ্ঠ গ্রেডের আওতায় পড়বেন।’
সংসদ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে নতুন নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেয়া হবে।
কোনো বিতর্ক হবে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে সবারই পদোন্নতি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনেও পদোন্নতির একটা ঢেউ লেগেছে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘গতকাল একটা মিটিং হয়েছে। নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির সভা।
এ সভায় ৭৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। আমরা সুপারিশ করেছি, এটি কমিশন সভায় যাবে। কমিশন অনুমোদন দিলে পদোন্নতি বলা যাবে।’
২০০৬ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির আমলে এ ধরনের নিয়োগে বিতর্ক হয়েছিল। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এটিএম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন ওই নিয়োগ বাতিল করে।
শেখ হাসিনাকে আজীবন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন