রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
মক্কার রীতি অনুযায়ী ৯ জিলহজ হজের দিন কাবা শরিফে নতুন কিসওয়া বা গিলাফ পরানো হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২০ আগস্ট) ফজরের পর শুরু হয় গিলাফ পরানোর কাজ।
পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তনের তদারকি করেন হারামাইন আশ-শরিফাইনের প্রধান ইমাম ড. শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস।
এছাড়াও, গিলাফ পরিবর্তন অনুষ্ঠানে ১৬০ জন দক্ষ টেকনিশিয়ান ও নির্মাতা শিল্পী কাজ করেছেন। সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, রাজপরিবারের সদস্য, বিভিন্ন মুসলিম দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন।
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দু’টোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরা বানানো হয়। চারটি টুকরা চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরাটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরাগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। এর পর্দার উচ্চতা ১৪ মিটার।
কাবার গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি সোনা ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ। গিলাফের মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান ১ মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। একটা আরেকটার সঙ্গে সেলাই করা।
প্রতিবছর দু’টি করে (একটি সতর্কতামূলক) গিলাফ তৈরি হয়। একটি হাতে তৈরি। এটা বানাতে সময় লাগে আট-নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়।
কাবার গিলাফে রেশমি সুতায় স্বর্ণের প্রলেপযুক্ত তার দিয়ে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পবিত্র কোরআনের আয়াত উৎকীর্ণ করা হয়। অতি উন্নতমানের কালো কাপড়ের ওপর কোরআনের আয়াত শিল্পীরা নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলেন।
প্রবল বাতাসে উড়ে গেল কাবার গিলাফ (ভিডিও)
আরএম-