রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
শনিবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যা থেকে মক্কায় অবস্থানরত হজযাত্রীরা নিজ নিজ কামরা কিংবা মসজিদে হারাম থেকে হজের ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কাজ শুরু হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ তারিখে।
মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজপালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। মিনায় হাজিরা ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত আদায় করবেন। মিনাতে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে।
মিনাকে তাবুর শহর বলা হয়। এটা মক্কা প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ও মক্কার পার্শ্ববর্তী একটি এলাকা। মক্কা থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। মিনার আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।
হজপালনের অংশ হিসেবে হজপালনকারীদের মিনায় অবস্থান করতে হয়। হজপালনকারীদের জন্য মিনায় প্রায় লক্ষাধিক অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবুতে হজযাত্রীরা অবস্থান করে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর দেওয়া রয়েছে।
এদিকে, আগামীকাল ভোর পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা সোয়া এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রী অন্য হাজিদের মতো মিনায় যাবেন।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নির্দেশনায় মিনার মাঠে অসুস্থ বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসা দিতে ৪০ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন ডাক্তার, ১৫ জন নার্স, ব্রাদার, ফার্মাসিস্ট ওটি সহকারী ও ১০ জন হজ সহায়ক রয়েছেন। তারা ৮ ঘণ্টা করে তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশ হজ মেডিকেল সেন্টারের টিম প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এছাড়া আরাফাত ও মিনার আশপাশে সৌদি সরকারের কয়েকটি স্থায়ী হাসপাতালে দুজন করে ডাক্তার থাকবেন।ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান ও ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে থেকে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
মিনায় হজপালনকারীরা ৮ জিলহজ রাত থেকে আরাফাতের ময়দানে চলে যাবেন ৯ জিলহজ। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় যেয়ে রাতযাপন করবেন।
মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন শেষে ১০ জিলহজ তারিখে এখান থেকে ছোট ছোট কঙ্কর সংগ্রহ করে আবার ফিরে আসবেন মিনায়। পরদিন সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কুরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডনের মধ্য দিয়ে ইহরাম ত্যাগের মাধ্যমে হজের মূল কার্যক্রম শেষ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।
হজে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সৌদি আরবে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সহযোগিতায় কাজ করবেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক লাখের বেশি সদস্য। পাশাপাশি নেয়া হয়েছে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি।
ব্যবসা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আর নয় ক্লিক
হাজিদের সুবিধার্থে সৌদি সরকারের ‘স্মার্ট হজ’ অ্যাপস
আরএম/