আওয়ার ইসলাম: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে বলে জানা গেছে। আগামী নির্বাচনের তফসিলের আগেই এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০। ২০১১ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো হয়। তখন থেকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সও বাড়ানোর দাবি ওঠে। কিন্তু একাধিকবার এ বিষয়ে আলোচনা পিছিয়ে গেলেও বর্তমানে সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ করতে বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্দোলনে আছে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। সে দাবি এবং সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনের ফলে সরকার ৩০ কে ৩২ করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২ বছর বাড়াতে চাচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই এ ঘোষণা আসতে পারে। আর সেটি হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই।
এর আগে গত ২৭ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর করার সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে।
বিশ্বের বহু রাষ্ট্রেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বয়সসীমা ৩৮ থেকে ৪০, শ্রীলংকায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ইতালিতে ৩৫ বছর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩৮, ফ্রান্সে ৪০, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনিম্ন ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত।
এসব বিবেচনায় এনে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
ব্যবসার হিসাব নিয়ে জটিলতা আর নয় (কল- 01771 403 470) ক্লিক করুন
-আরআর