আওয়ার ইসলাম: ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণার প্রতিবাদে দেশটির আরব সম্প্রদায় বিক্ষোভ করেছে। শনিবার তারা রাজধানীর তেলআবিবে এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে হাজার হাজার আরব উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ থেকে প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে তারা সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। দ্রুত এ ঘোষণা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ আরব সম্প্রদায়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠা হয় ইসরায়েল। কিন্তু সে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে দেশটিকে ‘ইহুদি রাষ্ট্র’ ঘোষণা করা প্রকাশ্য প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন তারা।
সম্প্রতি পার্লামেন্টে ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণা করে একটি বিল পাস করা হয়। এরপর থেকেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।
ইসরাইলি পার্লামেন্ট দেশকে ‘ইহুদি রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা দেযার প্রতিবাদে দেশটিতে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের তদারকি করা আরব নাগরিক কমিটি ওই প্রতিবাদসভার ডাক দেয়।
ইসরাইলি পার্লামেন্টের একাধিক ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত এমপি প্রতিবাদসভায় অংশ নেন বলেও জানা গেছে।
এদের মধ্যে জামাল জাহালকা, মাসুদ ঘানাইম, সাবেক এমপি মো. বারাকেহ ও দেশটির আরব কমিউনিটি কাউন্সিলের নেতা ইভা ইলোজসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভে নেতারা বলেন, পার্লামেন্টে পাশ হওয়া আইনটি দ্রুত বাতিল করতে হবে। কারণ এতে দেশটিতে অন্য ধর্মাবলম্বীরা বৈষম্যের শিকার হবেন।
পার্লামেন্টে পাস হওয়া নতুন আইনে ইসরাইলকে ইহুদি রাষ্ট্র ঘোষণার পাশাপাশি অবিভক্ত জেরুজালেমকে দেশটির রাজধানী এবং হিব্রুকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
ইসরাইলে ২০ শতাংশ ফিলিস্তিনির বসবাস রয়েছে। এরা আরব ইসরাইলি হিসেবে পরিচিত। পার্লামেন্টে এদের প্রতিনিধিত্বও রয়েছে।
ব্যবসার হিসাব নিয়ে জটিলতা আর নয়, ক্লিক করুন
কাতারকে টপকে যাচ্ছে ম্যাকাও!
আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশের তালিকায় কাতারকে পিছু হটিয়ে সামনে আসছে চিনের অঞ্চল ম্যাকাও। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের।
মধ্যপ্রাচ্যের প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ কাতারকে টেক্কা দেয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।
বৈশ্বিক জুয়াড়িদের আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত ম্যাকাও ২০২০ সালের মধ্যে তার ধনীর অবস্থান পাকাপোক্ত করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালের দিকে ম্যাকাও’র জিডিপি ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৬ ডলার হতে পারে। একই সময়ে কাতারের জিডিপি দাঁড়াবে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৫১ ডলার।
গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের তকমা ধরে রেখেছে কাতার। দেশটির কাছাকাছিও কেউ ছিল না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো।
কারণ ধনী দেশের তালিকায় দ্বিতীয়তে ছিল লুক্সেমবার্গ। দেশটির জিডিপি ১ লাখ ৪ হাজার ৩ ডলার। যা কাতার থেকে অনেক নিচে।
কিন্তু চিনের বিশেষ অঞ্চল ম্যাকাও তার অর্থনৈতিক উন্নতি যেভাবে ঘটিয়েছে এতে দেখা যাচ্ছে, জিডিপি অগ্রগতিতে লুক্সেমবার্গকেই শুধু নয়, কাতারকেও ছাড়িয়ে যাবে শিগগির।
ম্যাকাও একসময় পর্তুগালের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে ম্যাকাও জুয়ার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। দুই দশক আগে চিনের নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসার পর সেখানে ক্যাসিনো ব্যবসার রাতারাতি অগ্রগতি ঘটে। এটাই চিনের একমাত্র স্থান যেখানে ক্যাসিনো ব্যবসা বৈধ।
জানা গেছে, ২০০১ সালে ম্যাকাও’র মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৩৪ হাজার ৫০০ ডলার। ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে জিডিপির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৮১ ডলার। এত দ্রুত জিডিপি বৃদ্ধির ইতিহাস বিশ্বে খুব কম।
কাতারের উপর সৌদি ও আরব রাষ্ট্রগুলোর অবরোধের পর দেশটি দিন দিন নানা সঙ্কটে পড়ছে। শিগগির এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে না পারলে কাতারের জিডিটি কমতে থাকবে।
ধনী দেশের তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, আরব আমিরাত, কুয়েত ও হংকং।
-আরআর