আওয়ার ইসলাম: ইহুদি রাষ্ট্র আইন বাতিলের দাবিতে ইজরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে এই বিক্ষোভ র্যালিতে যৌথভাবে অংশ নেন ইহুদি এবং আরব সম্প্রদায়ের লোক। গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু হয় এই বিক্ষোভ র্যালি।
গতমাসে ইজরায়েলকে ‘ইহুদি রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে পাস হয় ‘ইহুদি রাষ্ট্র আইন’। এই আইন অনুযায়ী, ইজরায়েলে থাকা অ-ইহুডি নাগরিকদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণী’র মর্যাদায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও ইজরায়েলী নাগরিকত্ব পাওয়া ফিলিস্তিনি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও থাকবেন এই কাতারে। আর সেকারণেই এই আইনটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।
শনিবার রাতে মিছিলে অংশ নেওয়া এক বিক্ষোভকারী আল জাজিরাকে বলেন, “এটা খুবই চমৎকার। এই প্রথমবার আমি দেখছি যে, ইহুদি আর ফিলিস্তিনিরা কোন কিছুর দাবিতে একসাথে বিক্ষোভ করছে। যারা গণতন্ত্র এবং একতায় বিশ্বাস করে তাদের জন্য এটা খুবই ভালো লাগার এক মুহুর্ত”।
ব্যবসার হিসাব নিয়ে জটিলতা আর নয়, ক্লিক করুন
চলতি বিক্ষোভে ইহুদি নাগরিকেরা, যাদেরকে প্রথম শ্রেণীর মর্যাদায় রাখা হয়েছে, তারাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তাদের দাবি, সকল নাগরিকের মর্যাদা হবে সমান।
ড্যান মেইরি নামে আরেক বিক্ষোভকারী জানান, “আমরা অনেক ইহুদিরাই মনে করি যে, বাকি যারা আছেন (সংখ্যালঘু) তারাও আমাদের মতোই একই মর্যাদার দাবিদার। এটা ইহুদি রাষ্ট্র হতে পারে কিন্তু আমরা যারা এখানে একত্রে বসবাস করছি তাদের সবাইকে শিক্ষা, সেনা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংসদসহ সবজায়গায় সমান সুযোগ লাভের অধিকার আছে”।
গতমাসে ইজরায়েলের সংসদে পাস হওয়া ঐ আইনে বলা হয়, জাতীয় ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার ‘শুধু’ ইহুদিদের। এছাড়াও ইজরায়েলের অফিস আদালতে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ‘হিব্রু’কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আগে হিব্রু এবং আরবি; দুটোই রাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা ছিল।
সূত্রঃ আল জাজিরা
আরও পড়ুন: জর্ডানে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযান, নিহত ৪
আরএম/