আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি আসামের নাগরিকত্বের তালিকার খসড়া থেকে ৪০ লাখ বাঙালির নাম বাদ যাওয়ার পর বিজেপিকে ‘বাঙালিবিরোধী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে বিজেপি প্রচার শুরু করেছে, তারা বাঙালিদের নয় বরং বাংলাদেশি মুসলিমদেরকে তাড়াবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির একটি প্রচারপত্র ঝুলছে কলকাতায়। সেখানে লেখা ‘বাঙালী নয়, বাংলাদেশী মুসলিমদের তাড়ানো হবে’- দলটির সভাপতি অমিত শাহের কলকাতা সফরের আগে আগে এই প্রচার চালিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শহরটিতে।
তবে বিজেপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘আমরা বাঙালিদের বিরুদ্ধে নই, তবে অবৈধ অভিবাসনের বিরোধী। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া হিন্দুদের আশ্রয় দেব। তবে এই দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী কোনো মুসলমানকে আশ্রয় দিতে পারি না। কিন্তু বাংলায় ভুল বার্তা ছড়িয়েছে যে আমরা বুঝি বাঙালিদেরকে বের করে দিচ্ছি। আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, আমরা কেবল বাঙালি মুসলিমদেরকে বিতাড়িত করব।’
বিজেপির সূত্র বলছে, আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গেও তারা নাগরিকত্বের এই নতুন তালিকা প্রকাশ করতে চায়। তবে যেহেতু এই অঞ্চলের মানুষরা এ বিষয়ে অনেকটাই সংবেদনশীল, তাই বিজেটি এ ক্ষেত্রে নমনীয় ভূমিকা নেবে। তারা আগে এই রাজ্যে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চায়।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা গত মঙ্গলবার রাজ্যের মুসলমানদেরকে এনআরসির পক্ষ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘আমি বাংলার মুসলিমদেরকে বলব, আপনারা এগিয়ে এসে এই রাজ্যেও এনআরসি বাস্তবায়নের পক্ষে অবস্থান নিন। পশ্চিমবঙ্গ অপুপ্রবেশের একটি ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের চাকরি, খাদ্য আর কর্মসংস্থান-সবই নিয়ে নিচ্ছে।’
এদিকে, শনিবার দুপুরে কলকাতার মেয়ো রোডের বিজেপির রাজনৈতিক সভায় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, যে যতো যা-ই কিছু বলুক না কেন- পশ্চিমবঙ্গ আর আসাম থেকে বাংলাদেশিদের বিতাড়ন করা হবে।
রোহিঙ্গা পরিণতির দিকে যাচ্ছে কি আসামের ৪০ লাখ মুসলিম?
[ব্যবসার যাবতীয় কাজ সহজ করতে এলো বিসফটি। এখনই রেজিস্ট্রেশন করুন বিসফটি।]
আরএম/