রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
জিলকদ হলো আরবি চন্দ্রবছরের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) দ্বিতীয় মাস এবং জিলহজের (হজের মাস) জোড়া মাস। হারাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের তৃতীয় মাস হলো এই মাস। হারাম চার মাস হলো মহররম (১ম মাস), রজব (৭ম মাস), জিলকদ (১১তম মাস) ও জিলহজ (১২তম মাস)।
হারাম চার মাসের মধ্যে যে তিনটি মাস একসঙ্গে, তার সূচনা মাস হলো জিলকদ মাস। ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহার (জিলহজ মাস) মাঝামাঝিতে জিলকদ মাসের অবস্থান হওয়ায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
জিলকদ শব্দের অর্থ স্থির হওয়া বা বিশ্রাম নেওয়া। জিলকদ মাসকে বিশ্রামের মাস বলা হয়, কেননা এ মাসের আগের চার মাস ও পরের দুই মাস ইবাদতে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ কারণে জিলকদ মাসে মুসল্লিরা বিশ্রামের সুযোগ পায়। জিলকদের মাসেরও বেশ কিছু আমল রয়েছে।
জিলকদ মাসের আমল হলো: জিলকদ মাসের পর জিলহজ মাস। তাই এ মাসে হজ ও কোরবানির প্রস্তুতি নেয়া ভালো। এছাড়াও জিলহজ ও মহররম মাসের প্রস্তুতি হিসেবে নফল রোজা করা।প্রতি মাসের মতো এই জিলকদ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা।
চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিদের {আদি পিতা প্রথম নবী হজরত বাবা আদম (আ.)} সুন্নত রোজা রাখা। প্রতি সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববি রোজা পালন করা। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা।
সলাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা, জাওয়াল ও আউওয়াবিন) পড়া। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। দান-খয়রাত বেশি বেশি করা।
জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজার প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে কিছু হলেও নফল রোজা করা।
আরও পড়ুন : হিজরী সন নিছক বর্ষপঞ্জি নয়