আবু সায়ীদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি মেয়েকে, অন্য রেওয়ায়েতে আছে, অথবা দুটি মেয়েকে লালন-পালন করে তাদেরকে আদব শিক্ষা দেয়, বিবাহের ব্যবস্থা করে এবং তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ করে সে জান্নাতের অধিকারী হবে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫১৪৭
এই মর্মের হাদীস আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা.ও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি মেয়ের লালন-পালন করে, তাদের ব্যয়ভার বহন করে এবং তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ করে তার জন্য জান্নাত অবধারিত।
এ কথা শোনার পর, একজন বেদুঈন দাঁড়িয়ে আরজ করল, ‘দু’জন মেয়েকে লালন-পালন করলে?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, দু’জনকে লালন-পালন করলেও।
(উপস্থিত সাহাবীদের ধারণা) সে যদি একজন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত তাহলেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘হ্যাঁ’বলতেন।-মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস : ২৪৫৭
একটি প্রশ্ন ও তার উত্তর
একদিন তালীমের মজলিসে এই হাদীস শরীফ আলোচনা করেছিলাম। একজন ছাত্রী জিজ্ঞাসা করল, ‘যার মেয়ে নেই সে কীভাবে জান্নাতে যাবে? তার প্রশ্নটি ছিল খুব সুন্দর। আসলে আল্লাহ তাআলা অনেক দয়ালু ও মেহেরবারন।
সবার জন্যই বেহেশতে যাওয়ার অনেক উপায় তৈরি করে রেখেছেন। এগুলো যেন জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন দরজা।
সুতরাং যার জন্য যে দরজা দিয়ে জান্নাতে ঢোকা সম্ভব সে সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে ঢুকবে। আর যেসব সৌভাগ্যবানের জন্য জান্নাতের অনেক দরজা, কিংবা সবকটি দরজা খোলা থাকবে তাদের মর্যাদা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই দেখুন, নিচের হাদীসগুলোতেও জান্নাতে যাওয়ার পথ দেখানো হয়েছে।
ওমর রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি অযু করে এবং উত্তমরূপে অযু করে, এরপর কালিমা শাহাদত ও এই দুআ পড়ে-
اللهم اجعلني من التوابين واجعلني من المتطهرين
তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করতে পারবে।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ৫৫
আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘নারী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, রমযানের রোযা রাখে, নিজের সতীত্ব রক্ষা করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে তবে সে বেহেশতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।
উদাহরণস্বরূপ দুটি হাদীস উল্লেখ করা হল। হাদীসের কিতাবে এমন অনেক আমলের কথা বলা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং বেহেশতে যেতে পারে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন। আল-কাউসার।
আরও পড়ুন : শিশুকে শাসন; জানতে হবে যে বিষয়টি