আওয়ার ইসলাম : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষ এবার দেখেছে ভয়ঙ্কর মৃত্যুর মিছিল। সারাদেশে সড়কে সড়কে দুর্ঘটনা আর মৃত্যুর খবরে আতঙ্কগ্রস্ত ছিল সড়ক-মহাসড়কের যাত্রীরা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়, এবার সড়ক-মহাসড়কে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৩৯জন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৫ জন।
তবে রেল ও নৌপথ যুক্ত করলে হিসেব আরো বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩৩৫, নিহতের সংখ্যা ৪০৫। আর আহতের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৪ জন।
এবার রোজার ঈদে সড়ক-মহাসড়কে ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৩৩৯ জন নিহত এবং এক হাজার ২৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংগঠনটি বলছে, সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে এবার ঈদে মোট ৩৩৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে; তাতে ৪০৫ জন নিহত এবং এক হাজার ২৭৪ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী শুক্রবারতাদের সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে তদারকি না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। যদিও এবার ঈদের আগে সব তদারকি সংস্থার সক্রিয় অবস্থানের কারণে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
হতাহতের সংখ্যা বিবেচনায় এনে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছেন। দূরপাল্লার কোনো চালক যেন একটানা পাঁচ ঘন্টার বেশি গাড়ি না চালায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও যাত্রাকালে কোনো যাত্রী যেন পরিবহনের সাধারণ নিয়ম-কানুন মেনে ভ্রমণ করেন সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন। গাড়ির চালক ও সহকারীদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ১১ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার সময় গত ২৩ জুন পর্যন্ত ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৯ জন নিহত এক হাজার ২৬৫ জন আহত হন। একই সময়ে নৌপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ৫৫ জন নিখোঁজ ও ৯ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
‘অল্পকিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোতে তাখাচ্ছুছের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে’
এসএস