শফিকুর রহমান
আওয়ার ইসলাম
একদিন রাসূলুল্লাহ সা. মুআয ইবনে জাবাল রা. কে জান্নাতে যাওয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের সহযোগী আমল বলে দেওয়ার পর আরো কিছু ভালো আমলের কথা বললেন। এমনকি তিনি সকল ভালো কাজের মূল, কাণ্ড ও চূড়া সম্পর্কে বলার পর বললেন- “আমি কি তোমাকে এমন বস্তু সম্পর্কে বলবো যার ওপর এ সবই নির্ভরশীল? আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আপনি দয়া করে তা বলুন।
অতঃপর তিনি নিজ জিহ্বা ধরে বললেন, এটাকে তুমি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমাদেরকে কথার জন্যও কি পাকড়াও করা হবে? তিনি বললেন, তোমার কল্যাণ হোক হে মু‘আয! একমাত্র কথার কারণেই বিশেষভাবে সে দিন মানুষকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে”। (তিরমিযি, ইবনে মাযাহ, বাইহাকি)
তাই জিহ্বা যেমনিভাবে আল্লাহর দেয়া নেয়ামত, তেমনি আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাও। এই নেয়ামতকে আটটি জিনিস থেকে রক্ষা করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হোন।
১. মিথ্যা বলা।
২. ওয়াদাভঙ্গ করা।
৩. ঝগড়া করা।
৪. অভিশাপ দেওয়া।
৫. গালি দেওয়া।
৬. আত্ম-অহংকার প্রকাশ করা।
৭. অন্যকে উপহাস করা।
৮.গীবত বা পরনিন্দা করা
যেভাবে বাঁচিয়ে রাখবেন : জিহ্বার এসকল অভ্যাসকে দূর করা খুবই কঠিন, তাই অপ্রয়োজনে কথা বলার চেয়ে চুপ থাকাই এর জন্য উত্তম সমাধান হতে পারে। শুধু প্রয়োজনের জন্যই কথা বলুন এবং শুধু ভালো কথাগুলোই বলুন। যেমন হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- “যার আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালের ওপর বিশ্বাস রয়েছে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।” (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাযাহ)। পরিবর্তন ডটকম।
আরও পড়ুন : হযরত মুয়াজ রা. প্রতি রাসুল সা. এর ৮ উপদেশ