আওয়ার ইসলাম : ইসলামে কালিমায়ে শাহাদাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কালিমায়ে শাহাদাত হল ইসলামে প্রবেশের দ্বার। কালিমায়ে শাহাদাত ছাড়া ইসলামে প্রবেশ করা যায় না। নবীজি সা. বিভিন্ন উপলক্ষ্যে কালিমায়ে শাহাদাত পড়তেন।
ইবনে আব্বাস রা. বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সা. মু’আয বিন জাবাল রা. কে ইয়ামানে পাঠানোর সময় বললেন, -ইয়ামানবাসীকে বলবে, তারা যেন সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ ছাড়া কোনও ইলাহ (উপাস্য) নেই। আর আমি আল্লাহর রাসূল। তারা যদি এ (শাহাদাতের) বিষয়ে আনুগত্য করে, তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তা’আলা তাদের সম্পর্দে যাকাত ফরয করেছেন। যা ধনীদের থেকে সংগ্রহ করে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হবে (বুখারী ১৩৯৫)।
কালিমায়ে শাহাদাহ পাঠ করার পর থেকেই একজন্য ব্যক্তির উপর, আল্লাহর পক্ষ থেকে, নানা দায়িত্ব বর্তাতে শুরু করে। এটার যেমন গুরুত্ব, সওয়াব প্রতিদানও তেমন অপরিমেয়।
আবু যর রা. বলেছেন,আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের পর, হাঁটু মোড়া অবস্থাতেই, কারো সাথে কথা বলার আগে, “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কোনও উপাস্য নেই। তাঁর কোনও শরীক নেই। সর্বরাজত্ব তাঁরই। সমস্ত প্রশংসাও তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু দান করেন। আর তিনিই সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান”
দশবার করে পড়বে, তার জন্যে দশটি হাসানাহ (পূন্য) লেখা হবে, তার দশটি গুনাহ মাফ করা হবে, তার দশটি মর্যাদা বুলন্দ করা হবে। পুরোটা দিন সে সমস্ত অপ্রীতিকর বিষয় থেকে সুরক্ষিত থাকবে। শয়তানের অনিষ্ট থেকে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হবে। সেদিন আল্লাহর সাথে শিরিকের গুনাহ ছাড়া, আর কোনও গুনাহ তা কাছে ঘেঁষতে পারবে না। (তিরমিযী-৩৪৭৪)
আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।
আরও পড়ুন : নতুন জীবনের পয়গাম নিয়ে দুয়ারে এসেছে ঈদ