মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী
প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক
মাহে রমজানের রোজার মাধ্যমে মানুষকে লোভ-লালসা, ফিতনা-ফাসাদ, পরনিন্দা প্রভৃতি অন্যায় আচরণ বর্জন এবং উন্নততর আদর্শের অনুসারী হওয়ার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।
রোজার মাধ্যমে এসব গুণ যতো বেশি অর্জন করা যায়, অন্য কোনো ইবাদতে তা সম্ভব নয়। অন্যান্য ইবাদতে লোক দেখানোর সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু রমজান মাসের রোজায় এই সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
রোজা কেবল মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের আদেশ পালন ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্যই রাখা হয়। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় বন্দেগি হলো রোজা।
মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন এবং সংযম শিক্ষাই রোজায় মুখ্য উদ্দেশ্য। রোজা হচ্ছে আত্মশুদ্ধির সোপান। পার্থিব যাবতীয় লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মসংযম ও তাকওয়া অর্জনের নামই রোজা।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে গোপন ইবাদত খুব প্রিয়। আর রোজা একটি গোপন ইবাদত। কেননা সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও রোজাদার ব্যক্তি ছাড়া আর কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয় সে রোজা রেখেছে কিনা।
রোজার একটি অন্যতম মাহাত্ম্য এই যে, রোজার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ফেরেশতা সুলভ আচরণ প্রকাশ পায়। ফেরেশতাগণ যেমন পানাহার ও ভোগ-বিলাস করেন না, তেমনি রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিও সকল প্রকার পানাহার ও ইন্দ্রিয়তৃপ্তি থেকে বিরত থাকেন।
রোজার এ ধরনের তাৎপর্যের কারণে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন, তিনিই রোজার পুরস্কার প্রদান করবেন।
এ প্রসঙ্গে হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- আদম সন্তানের প্রতিটি আমল তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা আমারই জন্য এবং এর প্রতিদান আমি-ই প্রদান করবো।" (সহিহ বুখারি)।
আরও পড়ুন : রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত