আওয়ার ইসলাম: নিরাপত্তায় দুর্বলতার যুক্তি দেখিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো বিমানে সরাসরি পণ্য পরিবহন দুই বছর বন্ধ রাখে যুক্তরাজ্য সরকার।
পরে তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করার পর ৩ মাস আগে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
বর্তমানে আবার বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ধরা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দাখিল করা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থায় হুমকির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে পুলিশের ইউনিফর্ম পরে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিমানবন্দরে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলারও আশঙ্কা করা হয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্য নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যখন-তখন অস্ত্র নিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর (রোড জোন) এলাকায়।
কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ণ আইডি কার্ড ব্যবহার করে, এমনকি বিনোদনের নামে প্রবেশ করছেন সংরক্ষিত এলাকায়।
ফলে আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের ধারাবাহিক নিয়ম না মানার প্রবণতায় ক্রমান্বয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা।
অনুপ্রেবেশের এ কাতারে বেশিরভাগ অভিযোগ উঠছে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। ইউনিফর্মের জ্যাকেটে ‘ইমিগ্রেশন পুলিশ’ লেখাসহ তিন দফা সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
যার আলোকে গত ৫ এপ্রিল যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনকে একটি দাপ্তরিক পত্র দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
আবার সিভল বা অন্যভাবে সংরক্ষিত এলাকায় অনেক অচেনা লোকও ঢুকতে দেখা যায় বলে জানায় গোয়েন্দারা। তাই হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
আরো পড়ুন- যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হলে শুধু কাজা ওয়াজিব হয়