আওয়ার ইসলাম: শান্তিনিকেতনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে শান্তির বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে শান্তিনিকেতনে মিলিত হচ্ছেন তারা।
এসময় বহুল কাঙ্ক্ষিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির ব্যাপারে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে সকাল ৮টায় কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ভিভিআইপি ফ্লাইটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টার যোগে সকাল নয়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি কলকাতা ছাড়বেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেবেন তারা।
বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন সেখানে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরে শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন।
এর আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের প্রতীক হবে বাংলাদেশ ভবন।’
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। বাংলাদেশ ভবনে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি।
পরে রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে কলকাতা ত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা। আবারো কলকাতা ফিরে শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরবেন তিনি। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী শেখ হাসিনাকে বিদায় জানাবেন বলেও কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন- এক নওমুসলিমের সাহরিবিহীন ২০ঘণ্টা রোজার স্মৃতি