আওয়ার ইসলাম: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সহকারী পরিচালক এস. এম. শামীম ইকবাল’কে বরখাস্ত এবং একই অপরাধে সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুর্নীতি মামলার চার্জশীট দাখিলে গড়িমসি ও বিলম্ব এবং ঋণ জালিয়াতি মামলায় এক বছরের বেশি সময়ক্ষেপণ করার অভিযোগে তাদেরকে বরখাস্ত করার কথা জানা গেছে।
তিনি জানান, দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে না যায়, তা’ নিশ্চিত করতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুদকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দুদক সূত্র জানায়, খুলনায় সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় এস. এম. শামীম ইকবাল একটি দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করতে গিয়ে গড়িমসি করেন। তিনি এক বছরের বেশি সময় আদালতে চার্জশিট দাখিল না করে তা নিজের কাছে রেখে দেন।
দুদকের বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল রোববার তাঁকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ বরখাস্ত আদেশের ফলে তিনি চাকরি থেকে অবসরের কোন সুবিধা পাবেন না বলে দুদক সূত্র জানায়।
অপরদিকে দিনাজপুরে সমন্বিত জেলা কার্যালয় কর্মরত সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায় একটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় তদন্ত কার্যক্রমে এক বছরের বেশি অর্থৎ ৩৮৪ দিন সময়ক্ষেপণ করেন।
বীর কান্ত রায় কোন না কোনভাবে আসামির মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রমে বিলম্ব করেন বলে বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
‘মাদকবিরোধী অভিযানে সাফল্য পেতে আগে চোরাপথগুলো বন্ধ করতে হবে’
খালেদা জিয়ার তিন মামলার জামিন শুনানি কাল