আওয়ার ইসলাম: ঘোষণা দিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে সরকারি বাহিনী ও সংস্থাগুলো। এর আগেও একাধিকবার ঘোষণা দিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান হয়েছে। তবে পার্থক্যটা হচ্ছে, এবারে একের পর এক কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটছে, যাতে নিহত ব্যক্তিরা সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী বলে জানানো হচ্ছে।
অভিযানে বড় ধরনের মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার না হলেও গত চার দিনে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ছয়জন। অভিযানে অংশ নেওয়া বাহিনীর একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, মাদক নির্মূলে এখন বন্দুকযুদ্ধকেই ভরসা বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে মানবাধিকারকর্মী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা মনে করেন, বন্দুকযুদ্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের মতে, শুধু অভিযান দিয়ে মাদক সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘এ জন্য দরকার মানুষের সচেতনতা। সেটা না হলে মাদক সমস্যা থেকে আমরা কোনোদিনই বের হতে পারব না।’
র্যাব সূত্র জানায়, ৪ মে থেকেই র্যাব বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। ১৭ মে পর্যন্ত দেড় হাজার মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে মূল অভিযান শুরু হয়েছে সোমবারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে। ওই ঘোষণার পর থেকে এখন প্রতিদিনই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটছে।
মাকতাবাতুল ফাতাহ’র টিএসও পদে নিয়োগ পাচ্ছেন কওমি পড়ুয়ারা