আওয়ার ইসলাম: গ্রামীন ডাক সেবক পদে মাদরাসা উত্তীর্ণদের বঞ্চিত করার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ডাক ও তার বিভাগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে ৬০ জন প্রতিযোগী প্রার্থীকে নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল ‘বেঙ্গল মাদরাসা এডুকেশন ফোরাম’ নামের অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন৷
গতকাল শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়। আদলতে প্রশ্ন ওঠে মাধ্যমিক সমতুল্য অন্যান্য বোর্ডের পড়ুয়ারা যদি জিডিএসের পরীক্ষায় বসতে পায়, তবে মাদরাসার পড়ুয়ারা বঞ্চিত কেন?
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মাদরাসা থেকে মাধ্যমিক সমমানের হাই মাদরাসা ও আলিম পাশ পড়ুয়াদের গ্ৰামীন ডাক সেবক পদের পরীক্ষায় বসার সমানাধিকার ফিরিয়ে দিলেন।
প্রায় এক ঘন্টা শুনানির পর অন্তরবর্তী কালীন এই রায়ের ফলে গ্ৰামীন ডাক সেবক পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট জোর ধাক্কা খেলো বলে মনে করছে মাদরাসা পড়ুয়ারা ও শিক্ষামহলের একাংশI
এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার যে পর্ষদকে কেন্দ্রিয় সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে । যে পর্ষদ কাউন্সিলর অব বোর্ডস অব স্কুল এডুকেশন ইন ইন্ডিয়ার সদস্য ৷ তার সার্টিফিকেট বেআইনি হতে পারে না । ফলে ডাক বিভাগের পুরনো বিজ্ঞপ্তির মতোই মাদ্রাসা পড়ুয়ারা সুযোগ ফিরে পেল |
পশ্চিমবঙ্গ চিপ পোস্টারে নেতিবাচক ভূমিকার জন্য বঞ্চিতদের পাশে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন আলিয়া বিশ্ব বিদ্যালেয়র অধ্যাপক ডঃ মুকলেসুর রহমান ৷ ডঃ রহমান ও বেঙ্গল মাদরাসা এডুকেশন ফোরামের সহযোগিতায় সর্বপ্রথম ২৬ জন প্রার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছিল ক্যাটকোর্ট, পরবর্তীতে পর্ষদ ১৬ জনকে পৃথক মামলায় মোট ৪২ জনকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেন ক্যাটের বিচারপতি নান্দিতা চ্যাটার্জি ।
তবে সেই সময় ক্যাটের ঐ নির্দেশকেও অমান্য করেছিল ডাক বিভাগ I তাই এই ব্যাপারে সুষ্ঠু সমাধান জন্য— বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম পুনরায় মামলা করেছিল৷ পাশাপাশি একাধিক মুসমিম সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক সংগঠনও একই দাবীতে পথে নেমেছিল৷
-আরআর