আবদুল্লাহ তামিম: রমজানে সাহরি ও ইফতারের খাবার তৈরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক বাসিন্দা। গ্যাস না থাকায় পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করছে।
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের গোয়ালনগর লেনে ৬০টি বহুতল ভবনে অন্তত ৭০০ পরিবার বসবাস করছে। গত বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস থাকে না বলে বেশির ভাগ বাড়িতে কেরোসিনের চুলা কেনা হয়েছে।
তাঁতীবাজার এলাকার গ্যাস না থাকায় ভাড়াটেদের কেউ কেউ বাড়ি ছেড়েছে বলে জানা গেছে। রমজানে ইফতার ও সাহরির খাবার তৈরির বিষয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় আছেন বলে জানান।
একই দুশ্চিন্তা লালবাগের শহীদবাগ, সোয়ারীঘাট, সূত্রাপুরের মালাকার টোলা, বানিয়ানগর, গোপীবাগ, কে এম দাস লেন, গেন্ডারিয়ার এস কে দাস রোড, কে বি রোডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদেরও। এসব এলাকাতেও বেশির ভাগ সময়ই গ্যাস থাকে না।
গেন্ডারিয়া এলারও একই অবস্থা। মুগদা এলাকায় ফজরের পর এক ঘণ্ট থাকলেও আর রাতে ফিরে আসে সোনার হরিণ গ্যাস। এ রমজানের মানুষের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই।
পুরান ঢাকার বাইরে পল্লবী, মিরপুরের ১১ নম্বর, ১৪ নম্বর, কাফরুলের কিছু এলাকা, মোহাম্মদপুরের আদাবর, শেখেরটেকের কিছু এলাকাতেও গ্যাসের সংকট চলছে। তিতাসের নিয়ন্ত্রণকক্ষে এসব এলাকার বাসিন্দারা গ্যাস-সংকটের অভিযোগ করছেন।
আরো পড়ুন- এক নবমুসলিমের সাহরিবিহীন ২০ঘণ্টা রোজার স্মৃতি