মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে রোপা আমন ধান কাটা শুরু চাঁদপুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহর সাফল্য বগুড়ায় আন্দোলনে নিহত রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত

শুক্রবার রোজা, চাঁদ দেখা যায়নি আজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: আজ (১৬ মে) বাংলাদেশের আকাশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুক্রবার থেকে রমজান মাসের শুরু হবে।

হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধর্ম বিষয়কমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বুধবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। হিজরি সনের রমজানকে পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য করে থাকে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়। মাসজুড়ে রোজা রাখার পর উদযাপন করে ঈদুল ফিতর।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান,বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুক্রবার থেকে রমজান মাসের শুরু হবে।

এদিকে রমজান মাসে খতম তারাবি পড়ার সময় সারাদেশে সকল মসজিদে একই পদ্ধতি তথা ২০ রাকাত নামাজ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

২০ রাকাত তারাবি রাসুল সা. ও তার সাহাবাগণও পড়েছেন। হযরত ইমাম বুখারি ও ইমাম মুসলিম (রহঃ)এর উস্তাদ আবু বকর ইবনে শাইবা (রহঃ) এর কিতাব আল মুসান্নাফ পৃঃ ২/১৬৬, হাদিস নং ৭৬৯১, এছাড়া হাদিসের প্রসিদ্ধ কিতাব বাইহাকী পৃঃ ২/৬৯৮-৬৯৯, হাদিস নং ৪৬১৫, ৪৬১৭, তাবারানী পৃঃ ১১/২৬১, হাদিস নং ৭৭৩৩, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত বিশুদ্ধ হাদীসের রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আমল দ্বারা ২০ রাকা‘আত তারাবীহ নামায প্রমাণিত।”(আন-নুকাত আলা মুকাদ্দামাতি ইবনিস সালাহ-১/৩৯০, আন-নুকাত আলা কিতাবি ইবনিস সালাহ-১/৪৯৪)

দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর (রাযি.) তার খেলাফত আমলে মসজিদে নববীর মধ্যে তারাবীহ নামাযের অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জামা‘আতকে একত্র করে হযরত উবাই বিন কাআব (রাযি.) এর ইমামতীতে ২০ রাকা‘আত তারাবীহ নামাযের হুকুম দিয়েছিলেন।

সকল সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) তাঁর সমর্থন করেছিলেন। তারাবীহ নামায যদি নবী আলাইহিস সালাম থেকে ২০ রাকা‘আত প্রমাণিত না হতো তাহলে সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) অবশ্যই আপত্তি তুলতেন-(বাইহাকী পৃঃ ২/৪৯৭, হাদীস নং ৪৬১৭,৪৬২০, ৪৬২১, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক পৃঃ ৪/২৬১, হাদীস নং ৭৭৩২, বুখারী পৃঃ ১/৪৭৪, হাদীস নং ২০১০, মাজামাউ ফাতাওয়া ইবনি তাইমিয়া-২৩/১১২-১১৩ বাদায়েউস সানায়ে-১/৬৪৪)
তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান গনী (রাযি.),

চতুর্থ খলীফা হযরত আলী (রাযি.) সহ সাহাবায়ে কিরামের (রাযি.) ঐক্যমতে, উম্মাতে মুসলিমার ১৪০০ শত বছর পর্যন্ত ধারাবাহিক আমল তারাবীহ নামায বিশ রাকা‘আত চলে আসছে। যা আজ পর্যন্ত বাইতুল্লাহ শরীফ ও মসজিদে নববীতে চালু আছে-(বাইহাকী কুবরা পৃঃ ২/৪৯৬, হাদীস নং ৪৬১৭, পৃঃ ২/৪৯৭, হাদীস নং ৪৬২০, ৪৬২১, শরহুল মুহাজ্জাব পৃঃ ৩/৩৬৩-৩৬৪) সুতরাং তারাবি নিয়ে কোন ধরণের বিভ্রান্তি উচিত নয়।

আরো পড়ুন- রোজার ফজিলত ও জরুরি মাসাইল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ