আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের দিনে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৫৮ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হওয়ার প্রতিবাদ স্বরুপ ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে তুরস্ক।
এদিকে সোমবার ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাও।
তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী বেকির বোজদাগ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ওয়াশিংটন ডিসি এবং তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূতদের তুরস্কে ফিরে আসতে হবে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে তুরস্ক। দেশটি এই ঘটনাকে হত্যাযজ্ঞ বলে বর্ণনা করেছে।
২০১৪ সালের গাজায় যুদ্ধের পর একদিনে ফিলিস্তিনি হতাহতের এটিই সর্বোচ্চ ঘটনা। ১৪ মে সোমবার ইসরায়েলের স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প ও ইভানকার স্বামী জেরার্ড কুশনার। কুশনার-ইভানকা দম্পতির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মিউচিন ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে একদিনেই ৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হবার পর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গাজার এ ঘটনাকে বর্বরোচিত আক্রমণ বলে বর্ণনা করেছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
এইচজে
আরো পড়ুন গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮, আহত ২৭০০