আওয়ার ইসলাম : আজ সোমবার ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আটকে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ১৫০ জন ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। এর বাইরে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় নেবেন না তাঁরা। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারী পেলে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছেন আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বিভাগে ক্লাস হচ্ছে না।
কলাভবনের নিরাপত্তাকর্মী ফজলুল হক বলেন, ‘ক্লাস হচ্ছে না। একটা–দুটা ক্লাস হলেও হতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা আসছেন না। এলেও তাঁদের সংখ্যা খুব কম।’
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ডাকা ধর্মঘটের মধ্যে ষোলশহর স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা নানা স্লোগানে ষোলশহর স্টেশন দখল করে রাখেন।
ষোলশহর রেলস্টেশন মাস্টার এস এম শাহাবুদ্দিন বলেন, আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে কোনো ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়নি।
প্রশাসন সূত্র জানা যায়, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস, আরবি বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করেছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার এক মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এখন প্রজ্ঞাপন জারিই একমাত্র দাবি। সরকার প্রজ্ঞাপন জারি না করলে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্দ তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, আন্দোলনকারীর ট্রেন আসতে না দেওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী কম ছিল। তবে বেশ কয়েকটি বিভাগে ক্লাস হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
ওই সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটাব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এত কিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’
এরপর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী কোটা নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ফের সোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা।
ইন্দোনেশিয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরে বোমা হামলা
দেওবন্দে পড়ার ন্যায্য দাবীতে মাঠে নামছেন আলেমরা