ওমর ফাইয়ায : তুর্কি ইউনির্ভাসিটিগুলো ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ ডিপার্টমেন্টে নতুন ছাত্র ভর্তি করবে না। তুরস্কের হাইয়ার এডুকেশন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুরুস্ক ও ফ্রান্সের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার মধ্যে তুরুস্কের দিক থেকে এই সিদ্ধান্ত এলো।
তুরুস্ক বলছে, ফ্রান্সের বিশিষ্টজনদের কুরআনের কিছু অংশ বাদ দেয়ার দাবির প্রতিবাদে এবং ইওরোপের ইউনিভার্সিটিগুলোতে তুর্কি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম না থাকার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তুরুস্ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তুরুস্কের সংসদে জাতীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল্লাহ ইসলার আল জাজিরাকে বলেন, আমরা কুরআন সংশোধনের মতো বিতর্কিত দাবি জানিয়ে ফ্রান্সের বিশিষ্টজনদের বিবৃতির নিন্দা জানাই। সেই বিবৃতির প্রতিবাদে তুরুস্কের হাইয়ার এডুকেশন বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।
ইসলার আরও বলেন, ফ্রান্সে তুর্কি ভাষা শেখার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। এটা দুই দেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতা। ফ্রান্সে তুর্কি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের অভাবও এই সিদ্ধান্তের পেছনে একটি কারণ।
তিনি বলেন, তুরুস্কের ইউনিভার্সিটিগুলোতে ফ্রেঞ্চ শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি।
ইমরুল্লাহ বলেন, হাইয়ার এডুকেশন বোর্ডের এই পদক্ষেপে ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। ডিপার্টমেন্টগুলোতে বর্তমানে অধ্যয়নরত ছাত্ররা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। তবে নতুন কোনো ছাত্র এসব ডিপার্টমেন্টে নেয়া হবে না।
সূত্র: আল জাজিরা
ফ্রান্সে কুরআনের আয়াত মুছে ফেলার আহবান : মুসলিমদের নিন্দা