আওয়ার ইসলাম : কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে নেত্রকোণা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় ধরে।খাবারের পানি ও গ্যাসের সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে। হাসাপাতালগুলোতেও রোগীদের মরণাপন্ন অবস্থা।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ না আসায় দেখা দিয়েছে পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা। মোবাইলে চার্জ না থাকায় ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিক যোগাযোগে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শহরের সাধারন মানুষের চলাচলের অটোরিকশা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে কয়েকটি শহরের রাস্তায় চলছে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে দ্বি-গুণ ভাড়া।
এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ও জেনারেটর না থাকায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনেরা চরম দুভোর্গে পড়েছে।শিশু ওয়ার্ডের রোগীরা বিদ্যুতের কারণে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এছাড়াও ভর্তিকৃত রোগীরা হাসপাতালের বেড থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত পানি সরবারাহ না থাকায় ময়লা ও দুর্গন্ধে ভাসছে হাসপাতালের শৌচাগার গুলো।
নেত্রকোনা বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবারের কালবৈশাখী ঝড়ে নেত্রকোনা জেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঘর-বাড়ির পাশাপাশি বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি উপড়ে পড়ে ও ভেঙে যায়। এছাড়া জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের (পিডিবি) ৩৩ কেভি (কিলো ভোল্ট) লাইনের ৭টি খুঁটি উপড়ে পড়ে,এছাড়াও ৩০টি ১১ কেভি খুঁটি ও ২টি গাছ বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ে যায়।
অপরদিকে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯০টি খুঁটি ভেঙে গিয়ে জেলার কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন, সদর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে।
‘সরকার পরিচালনায় প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে’
`দুঃখিত, ফেনী সড়কে আরো ২০-২৫ দিন ধৈর্য ধরতে হবে’