আওয়ার ইসলাম : ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের দুভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফেনীর রেলওয়ে ওভারপাসের কারণে দীর্ঘ যানজটে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও মালবাহী পরিবহনসংস্থাগুলোর।’
‘এজন্য আমি দুঃখিত। কিছুই করার নেই। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্ট আমাকে জানিয়েছে, আরো ২০-২৫ দিন লাগবে পুরো সমস্যা সমাধান হতে। তার আগে সবাইকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’
রোববার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, বিকল্প ব্যবস্থার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এখন বর্ষাকাল, অন্য সময় হলে হয়তো ম্যানেজ করা যেত। কোনো উপায় নেই। যাত্রী-মালামাল পরিবহনে সময় নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি আমরা জানি। একটু অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাস্তা করেছি ফোর লেন কিন্তু তিনটি ব্রিজ দুই লেনের আছে। সেটা হচ্ছে মেঘনা, কাঁচপুর ও গোমতি। এ তিনটি সেতুতে জাপান বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
‘এ সেতু তিনটি নির্মাণ সময়ের ৬ মাস আগে আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। ফলে এ তিনটি সেতুর নির্মাণ খরচ সাড়ে সাতশ কোটি টাকা হ্রাস পাবে। কাজেই এ কয়টা মাস এ রুটে যারা চলাচল করেন, তাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে।’
উল্লেখ্য, দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর অংশে ফতেহপুর রেলক্রসিংয়ে নির্মাণাধীন রেলওয়ে ওভারপাসের কারণে প্রায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েকদিন যানজট ১০০ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে গেছে।
ফলে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী শত শত যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী কাভার্ডভ্যান, লরি ও ট্রাক ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে থাকছে।
ঢাকা সেনানিবাসে ২৭ টি প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তান ছেড়ে পালাতে পারলেন না মার্কিন কূটনীতিক