আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই বলছি- কোটার আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ছাত্রশিবিরের।
আজ বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া হাসান আল মামুন এ বক্তব্য অস্বীকার করে বলেছেন, সরকার দলীয় ছাত্রছাত্রীরাও এই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার এই বক্তব্য ভুল।
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে আলটিমেটাম দিয়েছেন তাকে শিষ্টাচারবহির্ভূতও আখ্যা দেন এইচটি ইমাম।
তিনি বলেন, আন্দোলনরতরা সবাই যদি শিক্ষার্থী হয়, তা হলে তাদের মধ্যে একটি শিষ্টাচার থাকা উচিত। আমি মনে করি, সরকারকে ছাত্রদের পক্ষ থেকে আলটিমেটাম দেয়া শিষ্টাচারবহির্ভূত।
এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য এক মাস সময় নেয়া হয়েছিল, যা ৭ মে পার হয়ে গেছে।
তাদের এ দাবি নাকচ করে দিয়ে এইচটি ইমাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সংসদে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি মে’র কথা বলেছিলেন বলে আমার মনে পড়ে না। কারণ আমি সেদিন সংসদে ছিলাম, তার বক্তব্য শুনেছি।
গত মাসে কোটা সংস্কার নিয়ে যখন দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তুঙ্গে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন- কোনো কোটাই থাকবে না।
এর পর কিছু দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আবার বলেছেন- কোটা বাতিল হয়ে গেছে এবং এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই।
কিন্তু কয়েক দিন আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, কোটা নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই এবং এ বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনাও নেই।
এইচটি ইমাম বলেন, বিষয়টি দেখার জন্য কমিটি করে দেয়া হয়েছে এবং বিষয়টিতে সময় লাগবে।
মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী বললেন কোটা ব্যবস্থা থাকবে
-আরআর