আওয়ার ইসলাম : দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর কাজ। সেতুর ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের উপর স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসতে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাচ্ছে চতুর্থ স্প্যান ৭ই।
৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ নম্বর পিলারে তিনটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ৪৫০ মিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। চতুর্থ স্প্যানটি বসলে ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।
শনিবার (১২ মে) সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬শ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটি নেওয়ার কাজ শুরু হয়।
১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে ইয়ার্ডে পেইন্টিংয়ের কাজ শেষ করা হয় স্প্যানটির। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পিলারের পাইল স্থাপনের জন্য চ্যানেলে থাকা ফ্লোটিং ক্রেনগুলো।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জাজিরা প্রান্তের ৪১ নম্বর পিলারের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে প্রকৌশলীরা।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা জানান, প্রথম স্প্যানটি বসতে প্রকৌশলীদের বেশি সময় লাগলেও আস্তে আস্তে বাকি স্প্যান বসাতে সময় কমে আসবে। শুকনো মৌসুমের সুবিধা কাজে লাগাতে মাওয়া প্রান্তে পাইলিংয়ের কাজে গতি বেড়েছে। স্প্যানগুলো পানি থেকে ১২০ ফুটের বেশি উচ্চতায় বসানো হবে।
জানা যায়, সকাল থেকেই খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। স্প্যান বসাতে ৪১ নম্বর পিলার আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এর প্রায় ৪ মাস পর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর মাত্র দেড় মাস পর ১১ মার্চ শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ধূসর রঙের তৃতীয় স্প্যানটি বসানো হয়।
অগ্নি ঝুঁকিতে ঢাকার ১৩ শ’ মার্কেট-শপিংমল
নাজিবের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা