আওয়ার ইসলাম : মেয়েটি মুসলমান হয়েছিল। লিপা রানী নাম বদলে হয়েছিল হোসনে আরা। চার বছর আগে মৃ্ত্যু হওয়া হোসনে আরার লাশ হিমঘরেই ছিল এতোদিন। লিপা রাণী হিসেবে সৎকার করা হবে নাকি হোসনে আরা হিসেবে কবর দেয়া হবে এ নিয়েছে চলছিল মামলা।
গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত বিষয়টি ফয়সালা করে হোসনে আরাকে কবরে শোয়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। মেয়েটির বাবার পক্ষের আইনজীবী সমীর মজুমদার জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বেঞ্চ ঘোষিত রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের কপি পৌঁছানোর তিনদিনের মধ্যে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে।
একই সঙ্গে মেয়ের বাবা ও তার পরিবারকে শেষবারের মতো মরদেহ দেখার এবং সম্মান জানানোর সুযোগ দেবারও আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
২০১৩ সালের অক্টোবরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার লিপা রাণী এবং পাশের গ্রামের হুমায়ন ফরিদ লাইজু পালিয়ে বিয়ে করে। মেয়েটি সে সময় ধর্মান্তরিত হয়। কিন্তু মেয়ের বাবা ছেলে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে।
কিন্তু সেসময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ের কাগজপত্রসহ আদালতে হাজির করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন লিপা এবং লাইজু। আদালত অপহরণ মামলাটি খারিজ করে দেয়।
এরপর মেয়ের বাবা মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দাবি করে আপিল করে। তখন আদালত আবেদন আমলে নিয়ে মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী সেফ হোমে পাঠিয়ে দেয়।
এ পর্যায়ে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি লাইজু বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। তিন মাস পরে ২০১৪ সালের ১০ মার্চ আত্মহত্যা করে মেয়েটিও।
লাইজুর বাবা ও মেয়েটির শ্বশুর জহুরুল ইসলাম বলেছেন, এরপরই তিনি আদালতে আর্জি জানান, মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী দাফন করার অধিকার চান তিনি।
এখন রায়ের কপি হাতে পাবার পর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক মেয়েটিকে দাফনের ব্যবস্থা করবেন।
এসএস
আরো পড়ুন :জার্মানির রাজ্য সরকারও শিশুদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে
[আওয়ার ইসলাম বৃহত্তর কলেবরে প্রকাশ করতে যাচ্ছে রমজানুল মোবারক সংখ্যা, আপনার মাদরাসা-স্কুল বা কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করুন। আপনার কপি সংগ্রহ করতে ফোন করুন 01717831937 বিকাশ]