আওয়ার ইসলাম: আজান শুনে ক্ষেপে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আনহার মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সিলেট। ফেসবুকেও বিষয়টি নিযে তীব্র সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।
বালাগঞ্জে বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা চলাকালে পাশের মসজিদে আজান হওয়ায় ক্ষেপে যান বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া। এ সময় তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আনহার মিয়া আজানের পর পর বলেন, ‘কুনুখানো মিটিং মাটিং দেখলে তারা দেওয়ানা হই যায় আজান দেওয়ার লাগি। কেনে আজান দুই মিনিট আগে দিলো অখানর জয়াব দিতো অইবো। কেনে দুই মিনিট আগে আজান দিলো, অনুষ্ঠান দেখলে দেওয়ানা অই যায়।’
‘কোনো অনুষ্ঠান হলে সেখানে আজানের প্রতিযোগিতা হয়’ বলেও কটাক্ষ করেন।
তার এ মন্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের বক্তব্য হলো, নেত্রী শেখ হাসিনাও যেখানে আজানকে সম্মান করেন, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিধর্মী হয়েও আজানের সময় তার বক্তব্য বন্ধ রাখেন, সেখানে তার এরকম মন্তব্য ধর্ম ও সামাজিকতার প্রতি চরম অশ্রদ্ধা।
সাধারণ জনতা এ ঘটনার দ্রুত বিচার ও তদন্ত দাবি করেছেন।
ভিডিও