আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহসভাপতি ও জেলার হাজীগঞ্জ ও হাজীপাড়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ-এর ইন্তিকালে গভীর শোকপ্রাকশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সভাপতি আল্লামা আব্দুল মুমিন শায়েখে ইমামবাড়ি ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
গতকাল (২১ মার্চ) বুধবার দুপুরে প্রদত্ত এক যৌথ শোকবার্তায় জমিয়ত সভাপতি ও মহাসচিব বলেন, আমরা মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ রহ.এর জন্য মহান আল্লাহর শাহী দরবারে বিনীত ফরিয়াদ জানাচ্ছি, তিনি যেন তাঁর এই মুখলিস দ্বীনের দায়ী ও আলেম বান্দাহকে মাগফিরাত দান করে নিজ রহমতের শীতল চাদরে আবৃত করে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান করে নেন।
মরহুমের ইন্তিকালে জাতি এক প্রতিথযশা আলেম, দক্ষ রাজনীতিবিদ এবং মানবতার তরে নিবেদিতপ্রাণ কৃতি সন্তানকে হারিয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ইসলামী হুকুমত কায়েমের আন্দোলনেও একজন মহতী বুযূর্গ আলেমকে হারাল।
আল্লামা আব্দুল মু’মিন শায়েখে ইমামবাড়ী বলেন ও আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, মরহুম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ একাধারে দুইটি দ্বীনি মাদরাসায় শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক ইসলামী শাসনে কায়েমের লক্ষ্যে জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের রাজনীতিতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘ দিন ইলমে হাদীসের মসনদে দরস দিয়ে অগণিত আলেমে-দ্বীন তৈরিতেও বিশাল ভূমিকা রেখে গেছেন। দ্বীনি শিক্ষার জন্য খেদমতের পাশাপাশি তিনি শাক্তিশালী বাংলাদেশ, ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্রীয় শাসন এবং আদর্শ সমাজ গড়ার জন্যও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ব্যানারে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নিরলস কাজ করে গেছেন।
তাঁর হাতে অগণিত পথহারা মানুষ সুপথের দিশা পেয়েছেন। ইসলামী জ্ঞান ও পরিশুদ্ধ আমলের ক্ষেত্রে তার অবস্থান ছিল ঈর্ষণীয়। মরহুমের সুশৃঙ্খল জীবন ও সাংগঠনিক তৎপরতা ঈমান-আক্বীদা ও আদর্শের মাঠে কাজ করা কর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার খোরাক যোগাবে।
শোক বার্তায় জমিয়তন নেতৃদ্বয় মরহুম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ সাহেবের অগণিত ছাত্র, ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী এবং শোকসন্তুপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের সকলের সবরে-জামিলের জন্য দোয়া করেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সদর সরকারী হাসপাতালে বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ও জেলা জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
ইন্তিকালের সময় তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও তিন মেয়ে রেখেগেছেন। গতকাল বুধবার সকাল সাতটায় হাজীগঞ্জ মাদরাসা ময়দানে মরহুমের নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর মরহুমের লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতৃবৃন্দসহ নারায়ণগঞ্জের আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক ও ব্যাপক সংখ্যক মুসল্লী অংশ গ্রহণ করেন।
মারজাযুত তাকওয়ায় ওলামা-জনতার মহামিলন শুক্রবার