আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কুরআন, ওলামায়ে দেওবন্দের ভাষ্যকার আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেছেন, মাজার পূজারিরা মুশরিক। ওরা সরলমনা মুসলমানের ঈমান-আকিদা ধংসের ষড়যন্ত্রে ইসলামের সাইনবোর্ড গলায় বেঁধে ইসলাম ধংসের পরিকল্পনায় আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে।
ওদের লিড দিচ্ছে সমাজের একশ্রেণীর শিক্ষিত মানুষ। যার নেপথ্যে ঘটেছে সিলেটের জৈন্তার ঘটনা। শহীদ হয়েছে মুজাম্মিল নামের মাদরাসা ছাত্র।
তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে খাদিমুল কুরআন পরিষদ আয়োজিত তিন দিন ব্যাপী তাফসির মাহফিলের ২য় দিনে এ কথাগুলো বলেন।
মাওলানা ওলিপুরী আরও বলেন, ইসলামে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদে বিশ্বাসের নাম তাওহিদ। অর্থাৎ এই বিশ্বাস অন্তরে বদ্ধমূল রাখা যে, আল্লাহ হলেন এই সৃষ্টিজগতের একচ্ছত্র মালিক, সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালনকারী এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী। আমাদের জীবন ও ধন-সম্পদের মালিক আমরা নই, প্রকৃত মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তিনি এগুলো আমাদের ক্ষণিকের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন।
খলিফায়ে মাদানী আল্লামা শায়খ আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি ও রেঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মুহিউল ইসলাম বুরহানের সভাপতিত্বে ও পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান ফয়সলের পরিচালনায় মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তাফসির পেশ করেন মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দী ঢাকা, দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা সালেহ আহমদ জকিগঞ্জী।
উপস্থিত ছিলেন জামেয়া নূরীয়া ভার্থখলার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ। আজ শুক্রবার শেষ দিন তাফসীর পেশ করবেন আল্লামা হাফিজ তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান- যাত্রাবাড়ি ঢাকা, মাওলানা সাজিদুর রহমান- বি-বাড়িয়া, মাওলানা আযহার আলী আনওয়ার শাহ কিশোরগঞ্জ, মাওলানা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জি।
ছবি তোলা নাজায়েজ হলে আলেমরা কেন বয়ানের ভিডিও করেন?