আবু আবদুল্লাহ: পশ্চিমার বিকৃত যৌনাচার মুসলিমদের ভিতরেও প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সেক্স গাইড গ্রন্থে বলা হয়েছ, যৌন বিজ্ঞান একটি সাধারণ ও স্বীকৃত বিজ্ঞানের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। আধুনিক যুগ পর্যন্ত সারা বিশ্বের সব দেশে সব ভাষায় যৌন বিষয়ক বই প্রচুর লিখা হচ্ছে।
এসব বইতে যা কিছু বিকৃত কাজ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে তাতেই আবার উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে। সত্যিকারার্থে অবস্থাটি একটি দুরবস্থা বা দুর্দশা বিশেষ। এর কারণ আল্লাহর আইনের সীমা না জানা এবং জানতে ও মানতে না চাওয়া।
একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সব বই দেখতে ও কিনতে ক্লিক করুন
আমাদের দেশেও বাজারে প্রচলিত কিছু বই ও ইন্টারনেটে হস্তমৈথুনকে ধর্ম নিষিদ্ধ নয় বলা হচ্ছে। আবার এসব বইতে যৌনসুখ পাবার জন্য দোয়া কালাম এবং ইসলামি আমলের হিদায়াত দেয়া হচ্ছে।
এসব বইয়ের ভাষা বর্ণনা ও বিষয়বস্তু এ বৈপরীত্য দিয়ে জন সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
অপরদিকে অনেক লোক যৌন পবিত্রতার নামে ইসলামের স্বীকৃত হালালকে হারাম করছে। এ বিশৃংখল অবস্থায় পাঠক সমাজ বিভ্রান্তিতে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রতিটি মানুষের কর্তব্য সত্যকে জানা। সত্যকে জানার জন্য ইসলামে জ্ঞানার্জনকে ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার প্রথম ওহীতেই আমাদের পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নিজে নিজে বই পড়া অথবা পড়তে সক্ষম কারো সহায়তায় আল্লাহর আয়াতের মর্মবাণী জেনে নেয়া।
আল্লাহ বলেন, “পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে; রক্তপিণ্ড থেকে”। সুরা আলাক্ব-১,২
হিন্দি চলচ্চিত্র যৌনতা নির্ভর, ছড়াচ্ছে যৌন বিকৃতি
সুতরাং আমাদের সবার উচিত আল্লাহর কালাম ও রাসুল সা.-এর হাদীস পড়া। পড়লে জানতে পারব এবং জানতে পারলে মানতে চেষ্টা করব। মানতে পারলে দেখা যাবে, যৌন জীবনসহ জীবনের সকল দিক ও বিভাগে আল্লাহর খাস রহমত পাওয়া যাচ্ছে।
জীবনের প্রত্যেক প্রসঙ্গ আর বিষয়-আশয় সবই জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে।
সৌনসুখের জন্য যৌন বিকৃতি অবলম্বন হল পুলকিত হওয়ার মত আকস্মিকতা সম্পন্ন বিষয়। মানুষের মনোজগত অনেকটাই পুলক শিহরণের আর আবেগের পক্ষে। তাই মানুষ নিষিদ্ধ বিষয়ে হঠাৎ আগ্রহী হয়ে ওঠে। এ সত্য অনেকেই স্বীকার করেছেন।
আধুনিক মুসলমান স্বামী-স্ত্রীকে এ অনাচারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে, একদিন তার যৌন জীবনের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যৌন জীবনে যে কোনো অনাচার অবলম্বনের জন্য কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আধুনিক যৌন অনাচার প্রসারের জন্য অনেক পদ্ধতি নান্দনিক কায়দায় প্রয়োগ ও অবলম্বন করা হয়। এতে করে একটি বিশেষ শ্রেণি থেকে লাজ-লজ্জা চলে গেছে। এরা এটাও চায়, সমাজের সর্বত্র এসব অনাচার প্রতিষ্ঠা হোক।
কোন কোন সাহিত্য ও পত্র-পত্রিকায় এসব অনাচারের পক্ষে এমনভাবে লেখা হয় যে, পাঠক তাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
৪ মাদরাসার ৫১ শিক্ষার্থীর তাকমিল পরীক্ষা অনিশ্চিত!