সালমান সাদি: শায়খুল আরব ওয়াল আযম, শায়খুল ইসলাম সাইয়্যিদ হুসাইন আহমদ মদনী রহ.'র অন্যতম খলিফা ছিলেন হজরত মাওলানা বদরুল আলম শায়খে রেঙ্গা রহ.।
যিনি একাধারে বরেণ্য বুযুর্গ, ওয়ায়েজ মুফসসিরে কুরআন, জামেয়া তওক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদরাসার পরিচালকও ছিলেন।
আলহামদুলিল্লাহ! অতি নিকটে থেকে তাকে বারবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। একসাথে খানাপিনা, ঘুমানোরও সৌভাগ্য ঘটেছে! আমার জীবনে এমন মাটির মানুষ আর দেখিনি।
কী তাওয়াজু'! কী ইনকেসারি! আমিত্ব, অহংবোধ, লোভ লালসা, হিংসা ঘৃণা, দুনিয়ার লোভবিহীন ভাবেই যেন তাকে সৃষ্টিকরা হয়েছে। আল্লাহু আকবর! তাঁর স্বরচিত একটি মুনাজাত রয়েছে। যা'তে তিনি বলেন, কুকুরে দেখিলে মোরে শরম লাগে তাঁর/ কোন গুনাহ রাখে না সে আমি গুনাহগার!
তিনি ছিলেন আমার মরহুম ওয়ালিদে মুহতরম রহ.'র ইলমে তাযকিয়ার শিক্ষক। ইলমে তাসাঊফে তাঁর কাছ থেকে ইজাযতও লাভ করেন তিনি। যদিও পীর-মুরিদি চ্যাপ্টারে আমার ওয়ালিদে মুহতরম আগ্রহী ছিলেন না। অনেকেই জানে না, তিনি কারো ইজাযত প্রাপ্ত কীনা? শায়খ কী না? সে অনেক কথা। যাক।
আজ রোজ বুধবার ফজরের পর স্মরণ হলো, হজরত শায়খে রেঙ্গা রাহ. এর কথা। আত্মীয়তার সম্পর্কে তিনি আমাদের নানাজি। একমাত্র খালা মরহুমার শশুর। তাঁর বড় সাহেবজাদা ছিলেন আমার খালু।
বর্তমানে মাদরাসা পরিচালনার দ্বায়িত্বে আছেন তাঁর চতুর্থ মিয়া মাওলানা মুহিতুল ইসলাম বুরহান। দ্বিতীয় মিয়া মাওলানা খলীল আহমদ হজরতের পর মাদরাসা পরিচালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানে শারিরীক অসুস্থতার দরুণ বাড়িতে আছেন। বড়ই আহলেদিল মানুষ। ষষ্ঠ মিয়া হাফিয মাওলানা সুফিয়ানও সপ্তম হাফিজ মাওলানা হাসসান মাদরাসার খেদমতে আছেন।
হজরতের সকল সাহেবজাদাই বাবার বিনয় নম্রতা, আমল আখলাকের নমুনা। পাঁচজন হাফিযে কুরআন। সবাই ইলমে দীনের খাদিম। এটা একটি বিরল বৈশিষ্ট্য। তবে, আমার কাছে হজরত শায়খের ষষ্ট সাহেবজাদা দারুলউলুম হাটহাজারীর ফারেগ হাফিজ মাওলানা সুফিয়ান হাফিঃ কে ই হজরত শায়খে রেঙ্গা রহ. এর পরিপূর্ণ নমুনা মনে হয়!
আল্লাহ্পাক তাদের সবাইকে হায়াতে তাইয়্যিবাহ ত্বাবীলাহ সাহতে কামেলা দানকরুন।
কিয়ামততক শায়খে রেঙ্গার নসলকে দীনের খেদমতের জন্য কবুল করুন। এবং আমাদেরে সীরতে মুস্তাকীমের উপর রাখুন। আমীন