আওয়ার ইসলাম
সিলেটে পৌঁছে হজরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় এই দুই মাজার জিয়ারত করে দোয়া করেন তিনি।
শাহজালালের মাজারে প্রায় এক ঘণ্টার মতো অবস্থানের পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হযরত শাহ পরান (র.) এর মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর সার্কিট হাউসে যাবেন বিএনপি প্রধান। সেখানে স্থানীয় শীর্ষ বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের।
এর আগে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট সার্কিট হাউজে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপার্সন। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে ও কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহজালালের মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। এ সময় দরগা গেটে তাকে স্বাগত জানান বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
প্রায় চার বছর পর খালেদা জিয়া সিলেটে আসলেও তার এবারের সফরে জনসভার মত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর সিলেট এসেছিলেন বিএনপি প্রধান। সিলেট পৌঁছার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন জানান, ‘‘মুলত শাহজালাল ও শাহপরাণ (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করতেই সিলেট এসেছেন খালেদা জিয়া। সিলেট অবস্থানকালে স্থানীয় নেতাদের সাথে একান্তে কথা বলবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
এর আগে সকাল সোয়া নয়টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয় বিএনপি প্রধানের গাড়িবহর। পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটে তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীরা সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। গাড়ি থেকে হাত নেড়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের শুভেচ্ছার উত্তর দেন খালেদাও।
তবে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী।
/এটি