আওয়ার ইসলাম: ফেব্রয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই নিয়োগ দেয়া হবে দেশের ২২ তম প্রধান বিচারপতি। কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি সে বিষয়ে এখনই শুরু হয়ে গেছে আলোচনা ও কানাঘুষা।
সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সুর্নিদিষ্টভাবে কেউ না বললেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার ও বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নাম তালিকার শীর্ষে রয়েছে এমনটাই অনুমান শীর্ষ মহলের। আলোচনায় রয়েছে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নামও।
আপিল বিভাগে বর্তমানে পাঁচজন বিচারপতি আছেন। তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছর। বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর অবসরে যাবেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।
অবসর সময়সীমার হিসেবে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হলে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নামই এগিয়ে। কেননা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার প্রধান বিচারপতি হলেও পরবর্তী দুজনও প্রধান বিচারপতি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন।’
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে কে নিয়োগ পাচ্ছেন এটি শুধু প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। একই অভিমত প্রকাশ করেছেন আইন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও। খবর এনটিভি।
তবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আলোচনায় সবার আগে আছেন বলে জানান তাঁরা। পদত্যাগ করা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) মেয়াদ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা যতক্ষণ না প্রয়োগ করবেন,ততক্ষণ পর্যন্ত ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কাজ হবে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো শূন্যতার সৃষ্টি হয়নি। তবে আমি আশাকরি শিগগিরই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া হতে পারে।
দীর্ঘ প্রায় চার মাস ধরে শূন্য আছে প্রধান বিচারপতির পদ। দেশের ৪৬ বছরের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে এ পদটি খালি পড়ে থাকেনি। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
তবে আগামী মাসে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হলে এ আলোচনার অবসান হবে বলে মনে করেন আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু, কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি?
এসএস/