রোকন রাইয়ান: মাওলানা সাদ কান্ধলভির বাংলাদেশে আগমণ ও ইজতেমায় অংশগ্রহণ বিষয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধান করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আলেমদের সঙ্গে তাবলিগের শুরার সদস্যদের বৈঠক চলছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দুপুর ২ টার পর থেকে এ বৈঠক শুরু হয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশের আইজিপি শহিদুল হক, এসবির প্রধান জাবেদ পাটওয়ারী।
বৈঠকে উলামায়ে কেরামের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী, যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মাহমূদুল হাসান, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মারকাজুশ শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া রাহমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক, লালবাগ জামিয়া কুরআনিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি ফয়জুল্লাহ, আম্বরশাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম ও আফতাবনগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আলী।
জানা যায়, তাবলিগের শুরার সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হামিদ মাছুম, মুহাম্মাদ খান শাহাবুদ্দীন নাসিম, মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, ইউনুছ শিকদার, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও আনওয়ার হোসাইন বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে মাওলানা সাদের বাংলাদেশ আগমন ও ইজতেমায় অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ জানুয়ারি প্রশাসন, আলেম ও তাবলিগের শুরার সম্মিলিত বৈঠকে মাওলানা সাদ এবারের ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে তাবলিগের শুরার ৭ জন সদস্য তার আসার পক্ষে মত দেন এবং তারা একটি চিঠিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাওলানা সাদের আসার ব্যাপারে ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
সে ভিত্তিতে গতকাল মাওলানা সাদ দুপুর ১২ টার পর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখানে আলেমদের অব্যাহত বিক্ষোভ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হলে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মাওলানা সাদকে কাকরাইল মারকাজ মসজিদে আনা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
মাওলানা সাদের বিরোধিতা যে কারণে
ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না মাওলানা সাদ কান্ধলভি