আওয়ার ইসলাম : যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য দুই পাশের ২ হাজার ৩০০ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভা থেকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ উদ্বোধন করেন। ৩২৮ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে। কিন্তু গাছ থাকলে চার লেন আদৌ সম্ভব না। পরে শনিবার যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যশোর-বেনাপোল রাস্তার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বৃক্ষ অপসারণ বিষয়ক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন ও আবদুল মালেক, স্থানীয় সরকার বিভাগের খুলনার পরিচালক হোসেন আলী খন্দকার, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হোসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সভা শেষে সওজের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক যথাযথ মানে প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সড়কের দুই পাশের ছোট-বড় মিলিয়ে ২ হাজার ৩০০ গাছ কেটে সড়ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় উপস্থিত সবাই উন্নয়নের স্বার্থে গাছ কেটে সড়ক সম্প্রসারণের পক্ষে মত দেন। ফলে গাছ কেটেই সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হোসাইন শওকত সাংবাদিকদের বলেন, যশোর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় গাছ কাটার আগেই সিদ্ধান্ত হয়। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন ও আব্দুল মালেকসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার আবারও মিটিং হয়। উন্নয়নের স্বার্থে সবাই গাছ কাটার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
বিদ্যমান গাছ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের মধ্যে যে বিরোধ আছে, তা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নিষ্পত্তি করা হবে বলেও জানান তিনি।