অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিন দেশের প্রেসিডেন্ট। হাই প্রোফাইল এ ভিজিট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এবং ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্রুং তান সাং ও সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এলেন বার্সেট আসছেন আগামী মাসে ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক না হলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কাজ চলছে। শীর্ষ পর্যায়ের এসব সফর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির দূত হিসেবে ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এলপি মারসুদি। তখন তিনি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের প্রেসিডেন্ট জোকো বিদোদো তাকে তিনটি বার্তাসহ বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে শরণার্থী সমস্যার কারণে বাংলাদেশের উপর যে বোঝা চেপেছে তার জন্য ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে সহমর্মীতা জানানো, বাংলাদেশের জন্য সহায়তা করতে ইন্দোনেশিয়া যে তৈরি আছে সেটা জানানো এবং বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি আলোচনা করা।
মন্ত্রণালয়ের অপর এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বুধবার জানিয়েছেন, চলতি বছরের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সম্ভব্য চ্যালেঞ্জগুলো বাংলাদেশ কিভাবে মোকাবেলা করবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান কি হবে সেটা নিয়েও ব্যাপক তৎপর রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও তদুর্ধ পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাব বিস্তারে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, জনশক্তি রফতানির অগ্রগতিসহ সার্বিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশী কূটনীতিকদের চলমান ও সম্ভাব্য তৎপরতার ওপরেও আলোকপাত করা হয়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারিয়ার আলম জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যায় কোনো আবদার পূরণে বিদেশী কূটনীতিকরা এবং রাষ্ট্রগুলো অতিতের মতো এবার আর সময় নষ্ট করবে না। এর আগে আমরা নির্বাচন কেন্দ্রীক বিভিন্ন দেশের এক ধরনের তৎপরতা দেখেছি। এবার আর সেটি হবে বলেও আশাকরি না।
আরএম