মাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের হজরত জাহাঙ্গীর শাহ রহ. মাদরাসার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ জনাব আনোয়ারুল আবিদীন খান তুহিন।
বিশাল মাঠ ছিল লোকে লোকারণ্য। মাঠে জায়গা না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাইরে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়। প্রধান অতিথি যখন মাহফিলে উপস্থিত হন, তখন 'বাংলাদেশের সম্পদ, দারিদ্র ও যাকাত' বিষয়ে ওয়াজ করছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট, কালের কণ্ঠ, ডেইলি সান ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিয়মিত লেখক, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্বারী মাওলানা যুবায়ের আহমাদ।
সংসদ সদস্য এসে বক্তার ওয়াজের মাঝখানে বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা না করে ধৈর্যের সঙ্গে বসে পুরো ওয়াজ শুনেন। তখন রাত ১১.১৫ টা বাজে। মাওলানা যুবায়ের আহমাদের বক্তব্য শেষ হতেই কর্তৃপক্ষ সংসদ সদস্যকে বক্তব্যের জন্য অনুরোধ জানায়।
এমপি সাহেব তার বক্তব্যের ভূমিকা শেষ করেই বলেন, 'কলামিস্ট মাওলানা যুবায়ের আহমাদ সাহেবের বক্তব্যের ওপরে আমার কিছু কথা আছে'। আয়োজকবৃন্দসহ শ্রোতারা তখন খুবই চিন্তায় পড়ে গেল। এমপি সাহেব কী জানি বলেন!
এমপি যাকাতের মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনের অপার সম্ভাবনার তথ্যপূর্ণ, গবেষণাধর্মী আলোচনার জন্য বক্তাকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা এবং এর বিপরীতে আদায়যোগ্য যাাকাতের যে পরিমাণ রেফারেন্সসহ বক্তা উল্লেখ করেছেন তাকে খুবই বাস্তবসম্মত অভিহিত করে তিনি বলেন, 'হুজুরের বক্তব্য আমি মুগ্ধ হয়েছি। অনেক কিছু জানলাম। ইনশাআল্লাহ, দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে আমি জোরালো দাবি পেশ করব'।
উপস্থিত হাজার হাজার তাওহিদী জনতা এমপির এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মুহূর্মুহ শ্লোগানে পুরো এলাকা কাঁপিয়ে তুলে।