সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সতর্ক করলেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিবিসির রেডিও ফোরের ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বারাক ওবামা বলেন, মানবিক সম্পর্ক রক্ষায় ইন্টারনেটের বাইরেও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ জরুরি।
ব্রিটেনে বিবিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ অনুষ্ঠান রেডিও ফোরের ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে এক দিনের জন্য অতিথি সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের পঞ্চম দাবিদার যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি।
অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি সাক্ষাত্কার নেন। আর ওই সাক্ষাত্কারে ওবামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দায়িত্বহীন ব্যবহার সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন বারাক ওবামা। সেই থেকে সংবাদমাধ্যমকে খুব কমই সাক্ষাত্কার দিতে দেখা গেছে তাকে। মঙ্গলবার রেডিও ফোরে দেওয়া সাক্ষাত্কারটিকে বিরল হিসেবে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
মূলত বড়দিন উপলক্ষে রেডিও ফোরের টুডের অতিথি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন হ্যারি। সম্পাদনার পাশাপাশি ওবামার সাক্ষাত্কার নেন তিনি।হ্যারি সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন গত সেপ্টেম্বরে, আর তা প্রচারিত হয় গতকাল ২৭ ডিসেম্বর।
হ্যারিকে ওবামা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এ ধরনের অপব্যবহারের ফলে মানুষের জটিল বিষয় সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা জন্মাচ্ছে, ভুয়া তথ্য সমাজে ছড়াচ্ছে এবং নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশে একটা ক্ষয়িষ্ণু মনোভাব উঠে আসছে।
ওবামা তাঁর উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, যারা নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের উচিত যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতামত পোস্ট করবেন তখন দায়িত্ব নিয়ে তা করা।
ওবামা বলেন, ইন্টারনেটের বাইরেও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ জরুরি। তিনি মন্তব্য করেন, তিনি এমন একটা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্য পরিহার করা হচ্ছে এবং মানুষ শুধু এমন জিনিস পড়ছে বা শুনছে যা শুধুই কারও ব্যক্তিগত মতামত।
তার মত, ‘ইন্টারনেটের একটা ঝুঁকি হলো সেখানে মানুষ সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারে। পক্ষপাতদুষ্ট তথ্যের আবরণ সেখানে মানুষকে গ্রাস করতে পারে।’
সাক্ষাত্কারে সাবেক প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুভূতি নিয়ে খোলামেলা আলাপ করেন। তিনি বলেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের নানা চ্যালেঞ্জের কথা, এ সময় কীভাবে পরিবারের সদস্যরাও নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন।
তবে তিনি বলেন, একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারাটাই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোটা তার জন্য মিশ্র অনুভূতির। ‘অনেক কাজ বাকি ছিল।’
সুত্র:বিবিসি।
এসএস/